নিপুণের প্যানেলে মাহমুদ কলির প্রার্থিতা নিয়ে সংশয়!

নিপুণের প্যানেলে মাহমুদ কলির প্রার্থিতা নিয়ে সংশয়!

আহমেদ জামান শিমুল

আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণের প্যানেল থেকে শাকিব খান, মৌসুমী, ফেরদৌস, অনন্ত জলিলসহ বেশ কয়েকজনকে সভাপতি প্রার্থী হতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের কেউই সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। অবশেষে বেশ ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিপুণ জানান, নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তার প্যানেল থেকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তার প্রার্থিতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

মাহমুদ কলি দীর্ঘদিন ধরে সমিতির আজীবন সদস্য। তবে নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় তাকে সাধারণ সদস্য দেখানো হয়েছে। সমিতির গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা অনুযায়ী আজীবন সদস্যরা নির্বাচন করতে পারবেন না। কিন্তু কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তাকে আজীবন সদস্য পদত্যাগ করে সাধারণ সদস্য হতে হবে।

বর্তমানে নির্বাচন ইস্যুতে বলা হচ্ছে, আজীবন সদস্যপদ থেকে ফের সাধারণ সদস্যপদ ফেরত পেতে আবেদন সাধারণ সভায় পাস করাতে হবে। কিন্তু এ এ ক্ষেত্রে তার ব্যতয় ঘটেছে।

শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘২ বছর মেয়াদি কমিটির সর্বশেষ তিনটি মিটিংয়েই আমি উপস্থিত ছিলাম। সভাগুলোতে মাহমুদ কলি সাহেবের আজীবন সদস্যপদ থেকে সাধারণ সদস্য হওয়ার আবেদনের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়নি। এমনকি মিটিংয়ে এ ধরনের কোনো আলোচনাও হয়নি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে বর্তমান কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারকে বেশ কয়েকবার মোবাইলে কল করা হলেও নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া গেছে।

এবারের নির্বাচনে কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক ও নির্মাতা এ জে রানা। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকায় আমরা তাকে (মাহমুদ কলি) সাধারণ সদস্য হিসেবে পেয়েছি। তাই আইন আনুযায়ী তার প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ নেই। কোনো অনিয়ম বা ভুল হয়ে থাকলে সেটার দায়ভার শিল্পী সমিতির আগের কমিটির। তারা কীভাবে পাস করেছে, তা তো আমরা জানি না।’

কোনো অনিয়মের মাধ্যমে সাধারণ সদস্য হয়েছেন- এ কথা মানতে নারাজ মাহমুদ কলি। বর্ষীয়ান এ নায়ক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি নিয়ম মেনেই শিল্পী সমিতিতে আবেদন করেছিলাম এবং তারা সেটা পাস করেছে। আমার আগে যারা আজীবন সদস্য ছিলেন, তারা যেভাবে নির্বাচন করেছেন আমিও সেভাবে নির্বাচন করছি। তাদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম মানা হয়েছে, আমার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। কোনো ব্যতয় ঘটেনি।’

তবে কবে আবেদন করেছিলেন এবং কবে আজীবন সদস্য থেকে সাধারণ সদস্য হয়েছেন তা জানাতে রাজি হননি মাহমুদ কলি। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘আপনি সমিতির অফিসে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন।’

সারাবাংলা/এজেডএস/পিটিএম

Scroll to Top