নিজেকে ফিরে পাওয়ার দিনে জিততে না পারার আক্ষেপ সৌম্যর

নিজেকে ফিরে পাওয়ার দিনে জিততে না পারার আক্ষেপ সৌম্যর

স্পোর্টস ডেস্ক

পাঁচ বছর পর ওয়ানডেতে কাঙ্ক্ষিত সেই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। কিন্তু সৌম্য সরকারের এই শতক ফিকে হয়ে গেলো নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সামনে। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েও পরাজিত দলেই থাকতে হয়েছে সৌম্যকে। ম্যাচ শেষে তাই সৌম্যর কণ্ঠে ঝরেছে হতাশা। সৌম্য বলছেন, এমন দিনে জয় পেলেই ব্যাপারটা বেশি ‘স্পেশাল’ হতো।

প্রথম ওয়ানডেতে শুন্য রানে ফিরেছিলেন সৌম্য। এর আগের চার ম্যাচের দুটিতেই রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। সব সমালোচনার জবাব আজকে ব্যাট হাতেই দিয়েছেন সৌম্য। ১৫১ বলে ১৬৯ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন, যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই ইনিংসে সৌম্য ছাড়িয়ে গেছেন শচীনকেও, এশিয়ার ব্যাটারদের মাঝে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এখন তারই। তবে প্রথম ইনিংসের আনন্দটা মিইয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের দারুণ ব্যাটিংয়ে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের সহজ জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড।

ম্যাচ হারলেও নিজের সেই ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন সৌম্য। সৌম্য বলছেন, এই পুরস্কারের পাশাপাশি জয়টা পেলে বেশি খুশি হতেন তিনি, ‘প্রথম কয়েক ওভারে আমি একটু বেশি সময় নিয়েছিলাম। সেঞ্চুরিটা নিয়ে খুবই খুশি, কিন্তু দুঃখজনকভাবে ম্যাচটা হেরে গিয়েছি। জিতলে ব্যাপারটা একটু বেশি স্পেশাল হতো।’

টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সৌম্যকে এক মুশফিক ছাড়া কেউই তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি। সৌম্যর কণ্ঠে তাই জুটি না হওয়ার আক্ষেপ, ‘মুশফিক ও মিরাজের সাথেই যা জুটি হয়েছে। তারাও ভুল সময়ে আউট হয়েছে। এরকম না হলে আমাদের স্কোর আরও বড় হতে পারত। আমি বল পর্যবেক্ষণ করে সেই অনুযায়ীই শট খেলেছি। মিড উইকেটের উপর দিয়ে পুল আমার প্রিয় শট।’

হাথুরুসিংহের প্রিয় ক্রিকেটার হিসেবে পারফর্ম না করেও দলে বারবার সুযোগ পাচ্ছেন সৌম্য, বরাবরই উঠেছে এমন অভিযোগ। আজ সেই অভিযোগের মোক্ষম জবাবটা ব্যাট হাতেই দিয়েছেন। সৌম্য জানিয়েছেন, তার উপর বরাবরই অনেক আস্থা ছিল কোচের, ‘আমি সৌম্য, সৌম্যই ছিলাম। হয়তো তিনি আমাকে ভালো বোঝেন, তাই ছোট একটা জিনিস বলেছেন আমাকে নিয়ে। আমি এটাকে কীভাবে দেখি সেটাই বড় ব্যাপার। একটা মানুষ হেঁটে গেলে অনেক নেতিবাচক জিনিস পাবে, ইতিবাচকও। আমি কীভাবে দেখবেন সেটা আপনার ব্যাপার। উনি হয়তো আমার ইতিবাচক দিকটাই দেখেছেন।’

সারাবাংলা/এফএম

Scroll to Top