ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিনে জামিন পেয়েছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক মো. মনির হোসেন এবং তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন যেখানে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২২ সালের ৬ জুলাইতে নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার অনুসারে পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল প্রসারে জড়িত হয়েছেন এবং বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে অ্যালকোহল পান করেছেন এবং তাদের মধ্যে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের সময় নাসির উদ্দিন ও তার সহযোগীরা ব্যাকগ্রাউন্ডে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পারসেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি বাদীকে গালি দেন এবং বাদী ও তার সহযোগী মধ্যে আলোচনার পর পরীমণি বাদীর দিকে একটি সার্ভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।