নারকেল কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল? – DesheBideshe

নারকেল কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল? – DesheBideshe


নারকেল কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল? – DesheBideshe

ডায়াবেটিস ধরা পড়লেই খাওয়াদাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি থাকে প্রায় সবারই প্রিয় মিষ্টিজাতীয় খাবার। এর মধ্যে রয়েছে নারকেলও। বাধ্য হয়ে এসবের লোভ ত্যাগ করতে হয় ডায়াবেটিক রোগীদের।

তবে নারকেলের নরম শাঁস খেলেই কি হঠাৎ করেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়? তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস হলেও নারকেল খাওয়া যায়। তা মোটেই ক্ষতিকর নয়। তবে তা সীমিত হতে হবে।

মাপ বুঝে খেলে কোনো সমস্যা নেই।

নারকেলের পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রাম নারকেলে ৩৫০ থেকে ৩৭০ ক্যালরি মেলে। কার্বোহাইড্রেট থাকে ১৫ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার মেলে ৯ গ্রাম, ফ্যাট ৩৩ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম।

শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়ে না কেন

নারকেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হলো, এক ধরনের স্কেল, যা কোনো খাবার খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা কত কমছে বা বাড়ছে, তা নির্ধারণ করে। নারকেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫১। ৫৫-এর নিচের যেকোনো খাবারকে লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বলে চিহ্নিত করা হয়। ঠিক সে কারণেই ডায়াবেটিক রোগীরা নারকেল খেতে পারেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, নারকেলের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ফাইবারের জন্যই এটি খেলেও হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না।

নারকেলে ফাইবারের কারণে কার্বোহাইড্রেট শোষণে সময় লাগে এবং বেশ ধীরে গ্লুকোজ বা শর্করা উৎপন্ন হয়। এতে থাকে মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইড। যার ফলে ইনসুলিন ছাড়াই বিপাকহারের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি খাবার থেকে পাওয়া যায়।

কিভাবে এবং কতটা খাবেন

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সেই ফল ভালো, যাতে কার্বোহাইড্রেট ও গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা কম থাকে। এদিক থেকে নারকেলও খুব উপকারী। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারকেলের ক্যালরি যথেষ্ট। সে কারণে অন্য ফলের চেয়ে এটি কম পরিমাণে খাওয়া দরকার।

একজন ডায়াবেটিক রোগী ১০০ গ্রাম আপেল খেতে পারলেও ১০০ গ্রাম নারকেল খাওয়া তা পক্ষে ঠিক নয়। ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দিনে ৩০ গ্রামের মতো খাওয়া যেতে পারে।

এনএন



Scroll to Top