নবীজি (সা.) বলেছেন, ইসলাম ধীরে ধীরে বিবর্ণ হতে থাকবে, যেভাবে বিবর্ণ হয় কাপড়ের নকশা। একপর্যায়ে কিছু বৃদ্ধ-অথর্ব লোক অবশিষ্ট থাকবেন। তাঁরা বলবেন, আগে এক জাতি ছিল যাঁরা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করতেন। কিন্তু তাঁরা নিজেরা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করবেন না।
নবীজি (সা.) বলেন, ‘বনি ইসরাইলের যা হয়েছিল, অচিরেই আমার উম্মতেরও তা-ই হবে, যেভাবে এক পায়ের জুতা অপর পায়ের জুতার সমান হয়।’
নবীজি (সা.) বলেছেন, ফিতনা অন্তরে এমনভাবে প্রবেশ করে, যেভাবে বুনানো চাটাইয়ের একাংশ অপরাংশের মধ্যে প্রবেশ করে। সুতরাং যে অন্তরসমূহে ফিতনা প্রবেশ করে, সেখানে কালো একটি দাগ পড়ে। আর যে অন্তর ফিতনাকে স্থান দেয় না, সে অন্তরে সাদা দাগ পড়ে। ফলে অন্তর হয়ে যায় দুই ধরনের। একটি হলো মর্মর পাথরের মতো সাদা অন্তর, যত দিন আকাশ–পৃথিবী অবশিষ্ট থাকবে, তত দিন এই অন্তরে ফিতনা প্রবেশ করতে পারবে না। আরেকটি হলো উপুড় করা হাঁড়ির তলার মতো কুচকুচে কালো অন্তর। এই ধরনের অন্তর ভালোমন্দ বোঝে না। সে বোঝে শুধুই প্রবৃত্তির অনুসরণ।
নবীজি (সা.) বলেছেন, যখন গনিমতকে দৌলত মনে করা হবে, যখন আমানতকে গনিমত ভাবা হবে, যখন জাকাতকে মনে করা হবে জরিমানা, যখন ইলম অর্জন করা হবে দুনিয়ার জন্য, যখন পুরুষেরা আনুগত্য করবে নারীর, যখন মায়ের অবাধ্য হবে সন্তান, যখন বন্ধুকে আপন ভেবে বাবাকে ঠেলা হবে দূরে, যখন মসজিদে শোরগোল বাড়বে, যখন পাপাচারীরা হবে কওমের নেতা, যখন অনিষ্টের ভয়েই কেবল মানুষ মানুষকে সম্মান করবে, যখন গায়িকা এবং বাদ্যযন্ত্রের সয়লাব হবে, যখন প্রকাশ্যে পান করা হবে মদ, যখন উম্মতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদের অভিশাপ দেবে, তখন তোমরা লুহাওয়া, ভূমিকম্প, ভূমিধস, রূপান্তর, পাথর বর্ষণসহ কেয়ামতের অন্যান্য আলামত সুতাছেঁড়া পুঁতির মতো একের পর এক সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা কর।