এরপর শুরু হয়ে যায় প্রতিযোগিতার পালা। শিশুদের জন্য ছিল দুই পর্বে স্মৃতির পরীক্ষা, নারীদের জন্য ফুটবলে লাথি দিয়ে গর্তে ফেলা, পুরুষদের জন্য দড়ি–টানাটানি। আরও ছিল ধাঁধা। অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা মীর সাব্বির ও মৌসুমী মৌ এই পর্বটি আনন্দঘন করে তোলেন। দর্শকদের অনুরোধে মীর সাব্বির বরিশালের টানে বলেন, ‘মানিকগঞ্জের সাইংজুরীতে আইয়া মোর জম্মের ভালো লাগছে।’
ইস্পাহানি অ্যাগ্রো লিমিটেডের পরিচালক ফৌজিয়া ইয়াসমিন বলেন, ‘এই নদীর পাড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে গ্রামবাসীকে নিয়ে নবান্ন উৎসব আয়োজন করতে পেরে আমাদের খুবই ভালো লাগছে। সামনেও আমাদের ঐতিহ্যবাহী এ ধরনের সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
কথাসাহিত্যিক ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, সারা দিনে আজ অনেক আনন্দ হলো। শিক্ষা-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মানিকগঞ্জের গৌরবময় ভূমিকা রয়েছে। অনেক গুণী মানুষের জন্ম হয়েছে এখানে। নতুন প্রজন্ম সেই উত্তরাধিকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।
বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের পর সারা দিনের এই আনন্দ আয়োজন শেষ হয়েছিল শিল্পী তাসিবার জনপ্রিয় গান ‘আইলা রে নয়া দামান’, ‘বসন্ত বাতাসে’ গানে গানে।