দেশে তারুণ্যের শক্তিকে উজ্জীবিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই।’ এই প্রতিপাদ্যকে ঘিরে দেশব্যাপী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে উদযাপিত হয়েছে এই উৎসব। তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে ঐক্যের প্রকাশ ঘটানো, সহযোগিতার নীতি প্রচার করা হয়েছে। উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে যাতে তারা দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উৎসবের সমাপনী ঘোষণা করা হলেও সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উৎসবের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
‘তরুণ্যের উৎসব ২০২৫’ এ তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অর্জন ও সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ-এই প্রত্যাশায় নতুন উদ্যমে এ আয়োজনের কার্যক্রম চলছে।
প্রথম পর্যায়ে তারুণ্যের উৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচিতে কমপক্ষে ২৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭১ জন নারী, ৪৪ লাখ ২৪ হাজার ৩০২ জন পুরুষসহ মোট ৭১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৩ জন তরুণ-যুবক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে। মোট ১৩ হাজার ৭১১টি ইভেন্টের মধ্যে শুধু নারীদের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ইভেন্ট ছিল দুই হাজার ৯৩১টি।
ক্রীড়া পরিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জেলা ক্রীড়া অফিস সারা দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায় হতে শুরু করে, উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজন করে অনূর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এসব আয়োজনের মধ্যে ছিল নারীদের ৮৫৫ ম্যাচ। এতে কমপক্ষে ২৫ হাজার ৬০০ নারী অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করেছেন।
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি উদ্যোগ; যা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং ২৬টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উদযাপিত হচ্ছে। তারুণ্যের উৎসবের লক্ষ্য জাতীয় ঐক্য ও সহযোগিতার চেতনাকে বৃদ্ধি করা, উদ্যোক্তা কর্মী হিসেবে আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যাতে তারা দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে এবং স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোগকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।
উদ্যোগটিতে অংশ নিতে এবং একইসাথে লেটেস্ট নিউজসহ বিভিন্ন ইভেন্ট আপডেট পেতে ভিজিট করুন: https://youth.cao.gov.bd/