সংঘাতে জর্জরিত লিবিয়ায় পূর্ব ও পশ্চিমে—দুটি আলাদা পার্লামেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় পার্লামেন্টের অধীনে রয়েছে হাফতারের বাহিনী। এর বিপরীতে রাজধানী ত্রিপোলিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সরকার রয়েছে। এই সরকারের অধীনে রাশিয়ার বেশ কিছু তেল উত্তোলনকেন্দ্র রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, এর অর্থ হলো নিজ অঞ্চলে ‘এক্সপিডিশনারি কোরের’ যোদ্ধাদের মোতায়েনের জন্য হাফতার ও তাঁর মিত্রদের অর্থ খরচ করতে হবে।
ইউরোপভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব ফরেন রিলেশনসের গবেষক তারেক মেগেরিসির ভাষ্যমতে, ‘ভাগনারকে (বর্তমানে এক্সপিডিশনারি কোর) হাফতারের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি যখন ভাগনারকে লিবিয়ায় মোতায়েন করছেন, তখন এই বাহিনী সেখান থেকে সিরিয়া ও সুদানসহ অন্যত্র অভিযান চালাতে পারবে।’
তারেক মেগেরিসি বলেন, এটি একটি নেটওয়ার্ক। ভাগনার শুধু সামরিক সহায়তাই দিচ্ছে না, লিবিয়াকে ব্যবহার করে অবৈধ মাদক ও সোনা চোরাচালানও করছে।
এমনকি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ও বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসী পাচারের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে। ভাগনারের জন্য লিবিয়া একটি বিরাট লাভজনক এলাকা।