নানা নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের সবকটি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে জোট সরকার গঠনই এখন একমাত্র পথ।
সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)’র সভাপতি শেহবাজ শরীফ দলের নেতাদের বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেহবাজ শরীফ দলের নেতাদের বলেছেন, পিপিপির সঙ্গে জোট সরকার গঠনে বড় একটি অগ্রগতি হয়েছে। তবে শর্ত, বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। বিনিময়ে পাঞ্জাবে সরকার গড়তে পিএমএল-এনকে সমর্থন দেবে পিপিপি।
এদিকে আরেক সূত্র জানিয়েছে, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পিএমএল-এন নেতৃত্বের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেহবাজ শরিফ। আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসহাক দার, খাজা সাদ রফিক, সরদার আয়াজ সাদিক, মরিয়ম আওরঙ্গজেব, মালিক মুহাম্মদ আহমদ খান, আজম নাজির তারা, আতাউল্লাহ তারা, খাজা ইমরান নাজির প্রমুখ।
বৈঠকে সরকার গঠনের বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেন পিএমএল-এন সভাপতি।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৪ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ৭৫ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।