এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং এতে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। তবে ধান কাটার মৌসুম ও ঝড়ের কারণে ভোটার কিছুটা কম হয়েছে।
রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নিন্দুকেরা বিশেষ করে বিরোধীদল যে বক্তব্য রেখেছে তা হাস্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। অনেকের আশঙ্কা ছিল ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন খুনোখুনি, মারামারি, রক্তারক্তি অবস্থায় সমাপ্ত হবে। এই নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে কোথাও ক্যাজুয়্যালিটি নেই, প্রাণহানির ঘটনা নেই। কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, কিছু আহত হয়েছে, কিন্তু প্রাণহানির ঘটনা নেই। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৩০ থেকে ৪০% ভোটার উপস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে আমি মনে করি ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বেশি জিতেছে। অন্য দলের হিসাবটা পরে দিতে পারব। আমরা মনে করি ভোটার টার্ন আউট সন্তোষজনক। প্রাণহানি নেই নির্বাচনে -এটাকে শান্তিপূর্ণই বলতে হবে। নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন খুবই দৃঢ় অবস্থা নিয়েছে। দলে নেতা কর্মীরাও যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে। যে কারণে প্রথম ধাপে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
বিএনপি বলেছে, নির্বাচনকে বয়কট করেছে জনগণ- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৩০ থেকে ৪০% ভোটার যদি উপস্থিত হয় যেখানে বিএনপি এবং তাদের সমমনস্ক অন্য দল নেই। তারপরও এই প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে এই উপস্থিতি সন্তোষজনকই বলছি। বিএনপির এ ধরনের বক্তব্য পাগলের প্রলাপ।
ওবায়দুল কাদের এ সময় বলেন, বিএনপির অনেকেই নির্বাচন করেছেন। বহিষ্কার করো তাদের ঠেকানো যায়নি। আসলে স্থানীয় প্রয়োজনে স্থানীয়দের নিবৃত্ত রাখা কঠিন।
নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডঃ হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।