ঢাকা, ৩০ মে – বিসিবি সভাপতির পদ হারিয়ে গেলেও আত্মসমর্পণ নয়, বরং লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাই দিলেন ফারুক আহমেদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনয়ন বাতিলের ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবির পরিচালকের পদ হারিয়েছেন তিনি, যার ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই শূন্য হয়েছে সভাপতির আসনও। এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে, তিনি নাকি দেশ ছেড়েছেন। তবে শুক্রবার (৩০ মে) একটি ভিডিও বার্তায় এই খবরকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ফারুক।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি দেশেই আছি। যারা এতদিন আমাকে নিয়ে নাটক তৈরি করেছে, এটা তাদের নাটকের শেষ দৃশ্য মনে হচ্ছে। গুজবে কান দিবেন না। আমি আগামীকাল (শনিবার) একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয় এবং তার বিরুদ্ধে চালানো ‘প্রচারণার’ বিরুদ্ধে লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন।
বিসিবি সভাপতির পদচ্যুতির প্রক্রিয়াকে “জোরপূর্বক ও অন্যায়” দাবি করে ফারুক আহমেদ অভিযোগ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছেও। তিনি জানান, ‘আমি আইসিসি সভাপতির (জয় শাহ) কাছে বিষয়টি অবহিত করেছি। অন্তত ৫-৭ জন পরিচালকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, আইসিসি খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।’
নিজের পুনর্বহালের আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কায় মন্ত্রিসভা পুরো বোর্ড ভেঙে দিয়েছিল। তখন আইসিসি হস্তক্ষেপ করে তাদের ফের বসিয়েছিল। আমার ক্ষেত্রেও আইসিসি তত্পর ভূমিকা নেবে বলে আশা করি।’
বিসিবির ৮ পরিচালক সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানান। অভিযোগের তালিকায় ছিল অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার। সেই চিঠির ভিত্তিতেই গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে, এবং নতুন কাউন্সিলর হিসেবে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে মনোনয়ন দেয়। বিসিবি পরিচালকরাও পরে সেই মনোনয়ন অনুমোদন করেন।
ফারুক আহমেদের ভাষ্য, এই পরিস্থিতির শেষ দেখে তবেই থামবেন। তার ভাষায় তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং তার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরবেন। তার এখনও বিশ্বাস বিষয়টি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
আগামীকাল ফারুক আহমেদের প্রতীক্ষিত সংবাদ সম্মেলনেই হয়তো জানা যাবে, তিনি কোন পথে এগোচ্ছেন—আইনি লড়াই, না আন্তর্জাতিক সহায়তার পথ ধরে ফিরে আসার চেষ্টা।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ৩০ মে ২০২৫