হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে দেশের বেশিরভাগ মানুষ মারা যাচ্ছে- এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
সংস্থাটি বলছে, মৃত্যুর এই হার ১ দশমিক ০২ শতাংশ। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ মানুষ মারা যায়।
রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স-২০২৩’ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, দেশে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর হারে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ২০২৩ সালে ১ দশমিক ০২ শতাংশ মানুষ মারা গেছে হার্ট অ্যাটাকে, ২০২২ সালেও এই সংখ্যা একই ছিল। তবে ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যুর হার বেড়েছে। ২০২৩ সালে এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, এর আগের বছর যা শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ ছিল।
মৃত্যু হার বেড়েছে যকৃতের ক্যান্সারেও। ২০২৩ সালে যকৃতের ক্যান্সারে মারা গেছে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ মানুষ, এর আগের বছর যা ছিল শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। তবে দেশে অ্যাজমায় মৃত্যু কমেছে। ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ মানুষ অ্যাজমায় মারা গেছে, ২০২২ সালে যা ছিল শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ। সাধারণ জ্বরেও আগের বছরের তুলনায় মৃত্যু কমেছে।
দেশে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ২০২৩ সালে মৃত্যু বেড়েছে, তবে নিউমোনিয়া ও হৃদ্রোগে মৃত্যু হার অপরিবর্তিত আছে।