সেমিফাইনালের প্রথম লেগের চতুর্থ মিনিটে দেম্বেলের গোলের পর গোলপোস্টের নিচে বীরত্ব দেখিয়েছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। আর্সেনালের পাঁচ–পাঁচটি গোলের সুযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপজয়ী দেম্বেলের গোল আর ইউরোজয়ী দোন্নারুম্মার অসাধারণ সেভগুলোই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। তাতে আর্সেনালকে তাদেরই মাঠে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের পথে এগিয়ে গেছে পিএসজি।
আগামী বুধবার নিজেদের মাঠ প্যারিসের পার্ক দে প্রিন্সেসে ফিরতি লেগে হার এড়ালেই পাঁচ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠবে পিএসজি।
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনাল যে দাপট দেখিয়েছিল, এর ছিটেফোঁটাও আজ দেখা যায়নি। বলের দখল, শট নেওয়া, পাস বাড়ানোর সংখ্যা, নিখুঁতভাবে বল বাড়ানো—সবকিছুতেই গানারদের চেয়ে এগিয়ে ছিল প্যারিসিয়ানরা। জমাট রক্ষণভাগ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, মিকেল আরতেতার দলকে রুখতে সব রকম ‘হোম ওয়ার্ক’ করে এসেছে লুইস এনরিকের দল।
রিয়ালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লক্ষ্যে ১১টি শট নিয়েছিল আর্সেনাল, আজ নিতে পেরেছে অর্ধেকেরও কম; ৫টি। সবই বৃথা গেছে দোন্নারুম্মা দেয়াল তুলে দাঁড়ানোয়।
দেম্বেলের জয়সূচক গোলের কৃতিত্বটা ‘জর্জিয়ান ম্যারাডোনা’ খিচা কাভারাস্কেইয়ার। বাঁ দিক থেকে আক্রমণে উঠে বক্সে ঢুকে পড়েন কাভারাস্কেইয়া। এরপর আর্সেনালের দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে খুঁজে নেন দেম্বেলেকে। ফরাসি এই ফরোয়ার্ড বল রিসিভ না করেই বাঁ পায়ে শট নেন। সেটাই আর্সেনাল গোলকিপার দাভিদ রায়াকে ফাঁকি দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে।