দূতাবাসের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ

দূতাবাসের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ

বিদেশে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু না হলেও প্রবাসীদের প্রতারিত করছে দুষ্কৃতকারীরা। মানিক সরকার নামে জনৈক ব্যক্তি নিজেকে কুয়ালামপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রবাসীদের অর্থ। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নজরে আসায় বাংলাদেশ দূতাবাস মানিক সরকারের সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ জানিয়েছে৷ এছাড়াও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে তাকে ধরার প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশি পাসপোর্ট বিশেষ করে ই-পাসপোর্ট দ্রুত করে দেওয়ার কথা বলে জনৈক মানিক সরকার ফেসবুক এ Best of Bangladeshi সহ অন্যান্য কিছু অ্যাকাউন্ট হতে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবা প্রদান করার ভিডিও প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে কয়েকজনের অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার।

মানিক সরকার বেশ কয়েকটি মালয়েশিয়ান ও বাংলাদেশি ফোন নাম্বার ব্যবহার করছে নিজের প্রতারণার কাজে। পাসপোর্টসহ যাবতীয় জরুরি বিষয়ে দূতাবাসের সহযোগিতার কথা বলে ব্যক্তিগত এসব নাম্বার ব্যবহার করছে।

দূতাবাস জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত ভিডিও ও তথ্যপ্রমাণ ইতিমধ্যে দূতাবাসের কাছে এসেছে। অনেক ভুক্তভোগী দূতাবাসে এসে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রকৃতপক্ষে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসে এখনো ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়নি। মানিক সরকার নামে দূতাবাসে কোনো কর্মকর্তাও নেই।

স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় এই প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য দূতাবাসের ইমেইলে পাঠানোর অনুরোধ করা যাচ্ছে ([email protected])। এসব দালাল ও প্রতারক চক্র হতে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেছে দূতাবাস।

Scroll to Top