প্রকাশিত সংবাদে দুদকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে নিজ ও পরিবারের নামে বিপুল পরিমাণে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য রয়েছে।
বিএফএসএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমন ঢালাও অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।
তবে কোনো বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে যদি কোনো কর্মকর্তার ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়, তাতে আমাদের সহযোগিতা ও সমর্থন থাকবে। নিরীক্ষা সরকারের একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া, যাতে সরকারের ব্যয়–সংশ্লিষ্ট আর্থিক নিয়মাবলি অনুসারে সম্পাদন হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হয়। নিরীক্ষা শেষে নিরীক্ষকগণ তাঁদের মন্তব্য পেশ করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কার্যালয় তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং উভয়ের সমন্বয়ে দায় নির্ধারণ হয়। সরকারের প্রতিটি দপ্তরই নিরীক্ষার আওতাধীন। কোনো কর্মচারী/কর্মকর্তার কাছে নিরীক্ষা বাবদ পাওনা থাকলে তা সরকারি কোষাগারে অবশ্যই ফেরতযোগ্য। কোনো কর্মকর্তা–কর্মচারী যদি এই পাওনা টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে সেই পরিমাণ অর্থ তাঁর পেনশন থেকে কেটে নিয়ে আদায় করা হয়। সুতরাং দাপ্তরিক নিরীক্ষা আপত্তিকে দুর্নীতি হিসেবে আখ্যায়িত করার অবকাশ নেই। বিগত বছরগুলোতে অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশের বাস্তবতা বিবেচনা না করে আর্থিক আইন প্রণয়ন করা হয়েছ, যার ফলে দূতবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা নিরীক্ষা আপত্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিতভাবে মহাহিসাব পরিদর্শক দপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে থাকে।