দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়ার পশ্চিমের সলসভিল টাউনশিপে একটি হোস্টেলে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ বছরের এক শিশু, ১২ বছরের এক ছেলে এবং ১৬ বছরের এক মেয়েও রয়েছে। শনিবার ভোরে এ হামলায় আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার অ্যাথলেন্ডা ম্যাথে জানান, ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে অন্তত তিনজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী হোস্টেল প্রাঙ্গণে ঢুকে মদ্যপ অবস্থায় এলোমেলোভাবে গুলি চালাতে শুরু করে। এখনও হামলাকারীদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ম্যাথে জানান, মোট ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি হোস্টেলটিকে একটি “অবৈধ শিবিন” (লাইসেন্সবিহীন মদের দোকান) বলে বর্ণনা করেন এবং জানান, এ ধরনের স্থাপনাতেই অধিকাংশ গণহত্যার ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, নিরপরাধ মানুষও প্রায়ই ক্রসফায়ারে পড়ে। অপরাধপ্রবণ দক্ষিণ আফ্রিকা অবৈধ মদের দোকানগুলো বড় চ্যালেঞ্জ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্লাব, শিবিন এবং বারের আশপাশে গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সরকারি অভিযানেও এ ধরনের কার্যক্রম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। শুধুমাত্র চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ—১২ হাজার অবৈধ মদের দোকান বন্ধ করেছে, ১৮ হাজার-এর বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছে।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দমন অফিস (ইউএনওডিসি)-এর ২০২৩–২৪ সালের তথ্যে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চ হত্যার হারের দেশগুলোর একটি, যেখানে প্রতি ১ লক্ষে ৪৫ জন খুন হন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৬৩ জন দক্ষিণ আফ্রিকান হত্যার শিকার হয়েছে। হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। তদন্ত চলছে এবং পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্ত করতে অভিযান চালাচ্ছে।



