কুয়ালালামপুর, ০৯ নভেম্বর – মিয়ানমার থেকে যাত্রা শুরু করা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বহনকারী একটি নৌকা থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে ডুবে গেছে। এতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিখোঁজ ও অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ওই নৌকার ১৩ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সমুদ্রবিষয়ক সংস্থা।
সংস্থাটির লঙ্কাবি দ্বীপের প্রধান কর্মকর্তা রোমলি মোস্তফা বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ৩০০ জনের বেশি আরোহীকে নিয়ে তিন দিন আগে ওই নৌকাটি যাত্রা শুরু করেছিল। শনিবার লঙ্কাবি দ্বীপের ১৭০ বর্গ নটিক্যাল মাইল এলাকায় থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়। সেখানে রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
সংস্থাটির প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, একজন বেঁচে যাওয়া যাত্রীকে চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে এবং আরেকজনকে স্ট্রেচারে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের দারিদ্র্যপীড়িত রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা বছরের পর বছর ধরে সংঘাত, দুর্ভিক্ষ ও জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে আসছেন।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অভিযানের মুখে রাখাইন থেকে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। বর্তমানে ওই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছেন।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামাকে কেদাহ প্রদেশের পুলিশপ্রধান আদজলি আবু শাহ বলেছেন, ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীরা প্রথমে মিয়ানমার থেকে একটি বড় জাহাজে ওঠেন। পরে মালয়েশিয়ার উপকূলে পৌঁছানোর আগে তিনটি ছোট নৌকায় ভাগ হয়ে যান তারা। প্রত্যেক নৌকায় প্রায় ১০০ জন করে ছিলেন। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গারা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নজর এড়িয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, অন্য দুই নৌকার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫ হাজার ১০০ রোহিঙ্গা নৌকায় করে দেশত্যাগের চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জন নিহত কিংবা নিখোঁজ হয়েছেন।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/০৯ নভেম্বর ২০২৫





