থাইল্যান্ডের সংসদে অনুষ্ঠিত ভোটে রক্ষণশীল বিরোধী ভূমজাইথাই পার্টির নেতা অনুতিন চার্নভিরাকুল দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
শুক্রবার ৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানায়, নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে পদচ্যুত করেছিল। এরপর শুক্রবার অনুষ্ঠিত থাই সংসদের ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পায় ক্ষমতাসীন অনুতিন চার্নভিরাকুল।
২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে শক্তিশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের ফিউ থাই পার্টি সরকারের শীর্ষ পদ দখল করে রেখেছিল। কিন্তু সম্প্রতি একটি ফোন কল ফাঁসের জেরে এই পরিবারের উত্তরসূরি পেতংতার্নকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর গত সপ্তাহে আদালত তার বিরুদ্ধেই রায় দেয়।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভোটে উদারপন্থী পিপলস পার্টির সমর্থনে অনুতিন জনপ্রিয় ফেউ থাইয়ের প্রার্থী চাইকাসেম নিতিসিরিকে পরাজিত করেন। সংসদের ৪৯২ সক্রিয় সদস্যের মধ্যে অনুতিন পান ৩১১ ভোট, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৪৭ ভোটের চেয়ে অনেক বেশি। চাইকাসেম পান ১৫২ ভোট এবং ২৭ জন ভোটদানে বিরত থাকেন।
৫৮ বছর বয়সী অনুতিনের এ বিজয় সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য এক বড় ধাক্কা। গত দুই দশক ধরে থাই রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি থাকলেও সামরিক ও রাজতন্ত্রপন্থী শক্তির চাপে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে এই রাজনৈতিক পরিবার।
ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে শিনাওয়াত্রা পরিবারের কর্ণধার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রা দুবাইয়ের উদ্দেশে ব্যাংকক ত্যাগ করেন। আগামী সপ্তাহে তার আগাম মুক্তি সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, রায়ের ফলে থাকসিনকে আবারও কারাগারে পাঠানো হতে পারে।
রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর কয়েক দিনের মধ্যেই অনুতিন ও তার মন্ত্রিসভা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ফেউ থাই দল সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব রাজপ্রাসাদে পাঠালেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়। ফলে আপাতত দলটি সংসদীয় বিরোধী দলে বসে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।







