তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে র‌্যাব-১৩

তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে র‌্যাব-১৩

বরিশালে তীব্র শীতে জমে উঠেছে শীতের পিঠা বিক্রি। তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসের মাঝে ভাসমান ভ্যান গাড়িতে করে এই পিঠা বিক্রি করছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। শীতের শুরু থেকে এই ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু হলেও শীতের প্রকোপ দু’দিন ধরে কিছুটা বেশি হওয়ার কারণে এই চাহিদা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথায় বিগত বছরের দিনগুলোর চেয়ে এই বছর শীতের পিঠা বেচা-বিক্রি বেড়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর তীব্র শীতের কারণে সন্ধ্যার পরপরই শহরের প্রাণকেন্দ্র সদর রোড, নতুন বাজার, নথুল্লাবাদ, রুপাতলী বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট ও তার আশেপাশে এলাকায় অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে।

বাঙ্গালিয়ানা ঐতিহ্যের সাথে নবান্ন ও শীতকাল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদিও বর্তমানে শীতকালে সে পিঠা ও পায়েসের আমেজ দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে ভাপা পিঠা ছাড়া শীতকাল কল্পনা করা অসম্ভব। মৌসুমি বিক্রেতার পাশাপাশি নারীরাও এই পেশায় যুক্ত হয়েছেন।

পিঠা ব্যবসায়ী হানিফ ও তার সহযোগী সবুর প্রতি পিছ ভাপা পিঠা ১৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। দিনে ৩০০-৪০০টি পিঠা বিক্রি করে তাদের দৈনিক মুনাফা থাকে ৮০০-১০০০ টাকা।

এছাড়া চৌমাথা বাজারের সামনে নারী পিঠা বিক্রেতা হাজেরা বেগম বলেন, কাচিখোচা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বিক্রি করি বর্তমান দু-দিন ধরে ক্রেতার চাহিদা বেড়েছে।

ব্যবসার অভিজ্ঞতার আলোকে তারা জানান, পূর্বে লাভ বেশি হতো কিন্তু বর্তমানে বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে আগের মতো আর লাভের দেখা মিলছে না। তবুও শীতকালীন এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

এদিকে, সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম বাড়ালেও পিঠার মান ও আকার কোনোটাই বাড়েনি। কিন্তু বাড়িতে পিঠা তৈরির বাড়তি ঝামেলা এড়াতে তারা বাধ্য হয়েই পিঠা ক্রয় করছেন।

দাম ও মানের আলাপ-আলোচনা থাকলেও শীতকালে খেজুরের গুড়ের ভাপা ও অন্যান্য পিঠা আবহমান কাল ধরেই বাঙালির শুধু রুচিই নয় বরং তা ঐতিহ্য।

Scroll to Top