লাইফস্টাইল ডেস্ক
করলার নাম শুনলেই যেন তিতা স্বাদে মুখ বেঁকে যায় অনেকের। তিতার জন্য বিশেষত বাচ্চারা একদমই করলা খেতে চায় না। অনেকেই আবার পছন্দ করে করলা খায়। তিতা হলেও করলার আছে নানা গুণ। করলা ক্যানসার প্রতিরোধ করে, ওজন কমায় আর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
ভারতীয় উপমহাদেশে ওষধি গুণের জন্য করলার বেশ সমাদর আছে। বিশেষত গরমে রোগ ব্যধি বা সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে করলা খাওয়া হয়।
করলা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নানা গবেষণা করা হচ্ছে। এসব গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে করলার নানা গুণের কথা। এতে আছে নানা রকম ভিটামিন ও এন্টি অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ করলায় আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, জিঙ্ক, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজ।
এছাড়াও হেলথ ডট কম অনুযায়ী করলায় আছে ব্রুকলির দ্বিগুণ পরিমাণ বেটা-কেরোটিন, পালং শাকের দুই গুণ ক্যালসিয়াম আর কলার থেকে দুই গুণ বেশি পটাশিয়াম। কাঁচা করলার রস এন্টি অক্সিডেন্টের দারুণ উৎস।
আসুন দেখে নেই করলার নানা উপকারিতা-
রক্ত পরিশোধন করে
করলার রসে উপস্থিত এন্টিমাইক্রোবায়াল আর এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রক্ত পরিশোধন করে। ফলে রক্তের নানা সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ দূর করার পাশাপাশি রক্ত থেকে টক্সিন বা দূষিত উপাদান বের করতে সাহায্য করে। করলার রস রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ত্বকের র্যাশ, ব্রণ, সোরিয়াসিস, ফোঁড়া ইত্যাদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই ত্বকের সমস্যা দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে করলা।
ওজন কমায়
করলার রস খেলে তা লিভারে পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্যকারী বাইল এসিডের নিঃসরণ বাড়ায়। এতে মেটাবলিজম বা পরিপাক ক্রিয়ার সময় শরীরের জমে থাকা চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। শুধু করলার রসই নয়, ক্যালরি কম হওয়ায় করলা নিজেও ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম করলায় মাত্র ১৭ ক্যালরি শক্তি থাকে। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তাদের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত করলা রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
করলায় আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও এতে থাকা এন্টিভাইরাল উপাদান ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থাকে উদ্দীপ্ত করে হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
করলায় পলিপেপটাইড পি নামের এক ধরণের প্রোটিন আছে যা অনেকটা ইনসুলিনের মত কাজ করে। এই প্রোটিন মানব শরীরে ইনসুলিনের অনুকরণে কাজ করে যা ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
সারাবাংলা/এসবিডিই