মৃদুভাষী, সজ্জন তাহের প্রচারবিমুখ মানুষ। আমার বন্ধুজন। দেখা হলে তাঁর আচরণ আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয়, লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে কী করে নিজের কাজে নিবেদিত হতে হয়। এই সংবাদ পাওয়ার পর ফোনে অভিনন্দন জানাতে গেলে তাহেরের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, ‘খুব বড় বিষয় নয়’। কিন্তু তারপরই বলেন, ‘কাজ বাড়ল, দায়িত্ব বাড়াল।’ স্বীকৃতির আনন্দের পাশে দায়িত্বশীলতার স্মরণ, এই হচ্ছে কাজের অঙ্গীকার।
আমরা এমন একসময়ে বাস করছি, যখন সুসংবাদ খুব বেশি পাই না। অন্যদিকে আছে প্রচারের উৎসব, যার অনেকটাই আদৌ প্রচারের যোগ্য কি না, সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ। অথচ কৃতী মানুষদের কাজ নিয়ে প্রচার হয় না। তাঁরা থাকেন আড়ালে। অনুপ্রেরণার উৎসগুলো সীমিত, বিজ্ঞানচর্চার আগ্রহ তৈরি হবে—এমন পরিবেশ বাংলাদেশে প্রায় অনুপস্থিত।
তাহের আবু সাইফের এই স্বীকৃতিকে উপলক্ষ করে হলেও বাংলাদেশে অনেকে তাঁর কাজের সঙ্গে পরিচিত হবেন, সেটা প্রত্যাশা। তার চেয়েও বড় আশা হচ্ছে, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে স্বপ্ন জেগে উঠুক, গবেষণার আগ্রহ জাগুক, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা হোক। প্রতিকূল পরিবেশেও নতুন কিছু আবিষ্কার করার, মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার চেষ্টা শক্তিশালী হয়ে উঠুক।