বিগত সময়ে ফেনীর মানুষেরা কথা বলতে পারেননি উল্লেখ করে মতবিনিময় সভায় আবদুল কাদের বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা মানুষদের অনেকটা জিম্মি করে রেখেছিল। যেন বসবাস ছিল জেলখানায়। তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে হঠাতে পারলেও দেশ সংস্কার এখনো হয়নি, সেটার অনেক বাকি। আগামীর বাংলাদেশ সুশাসনের বাংলাদেশ। দখলদারির রাজনীতিতে কুঠারাঘাত করতে হবে। ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক কোনো রাজনীতি থাকবে না। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকবে ছাত্রসংসদভিত্তিক। তারুণ্যের কোনো দল-মত নেই। তারা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চায়, সুশাসনের বাংলাদেশ চায়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হামযা মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আন্দোলনে ফেনীর মহিপালে নিহত শিক্ষার্থী শ্রাবণের বাবা নেসার আহমেদ। তিনি ছেলের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নেসার আহমেদ বলেন, ‘এই হত্যার বিচার কঠোরভাবে হওয়া চাই। আর কারও মায়ের বুক খালি না হোক।
আমার একমাত্র পুত্রসন্তান এ আন্দোলনে শহীদ হয়েছে। বিচার ছাড়া আমাদের চাওয়ার আর কিছু নেই।’
সভায় আন্দোলনে গিয়ে নিহত ইকরাম হোসেনের ভাই ইমরান হোসেনও বক্তব্য দেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে খালিদ হাসান, তাসনিয়া নওরিন, আলী আহমেদ আরাফ, মো. মহিউদ্দিন, জিয়া উদ্দিন আয়ান, মহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান শেষে ফেনী জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ নেন কেন্দ্রীয় নেতারা।