এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। এ রোগ কখনো সম্পূর্ণ সারে না। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চললে এবং প্রয়োজনে পরিমাণ মতো ওষুধ গ্রহণ করলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি হয়নি বলেই ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে।
আগামীকাল বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’ (বাডাস) আজ বুধবার ১৩ নভেম্বর দুুপুরে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের অরগান ট্রান্সপ্লান্ট ভবনের শহীদ মেজর সালেক চৌধুরী বীর উত্তম সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ডাক্তার একে আজাদ খান, মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সিইও ডা. সাহেলা নাসরিন, বারডেমের এন্ডোক্রোইনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান, ডাক্তার অরুপ রতন চৌধুরীসহ অন্যান্যরা। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ‘বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’ (বাডাস)-এর পরিচালক (প্রকাশনা ও গণসংযোগ) ফরিদ কবির।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীদের অন্তত ৫০% জানেনই না যে, তাদের ডায়াবেটিস আছে। এ কারণে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে এ রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। সকলেরই উচিত সময়ে সময়ে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করে দেখা যে ডায়াবেটিস আছে কিনা। এ ছাড়া যে সব গর্ভবতী মেয়েদের ডায়াবেটিক আছে তাদের যত্ন ও চিকিৎসায় বিশেষ নজর দিতে হবে। নইলে বাচ্চারও ডায়াবেটিক হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’কে সামনে রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের জন্য ৫টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ৮০% ডায়াবেটিক রোগীকে রোগনির্ণয়ের আওতায় আনা, ৮০% ডায়াবেটিক রোগীর রক্তশর্করা সুনিয়ন্ত্রণে রাখা, ৮০% ডায়াবেটিক রোগীর রক্তচাপ সুনিয়ন্ত্রণে রাখা, ৬০% ডায়াবেটিক রোগী, যাদের বয়স চল্লিশের বেশি তাদের ‘স্টাটিন’ পাওয়া নিশ্চিত করা, ১০০% টাইপ-১ ডায়াবেটিক রোগীর কাছে ইনসুলিন ও অন্যান্য সুবিধা পৌঁছে দেয়া।
এদিকে আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে বারডেমে সকালে রোড শো (প্লাকার্ড হাতে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি), এরপর বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয়, আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব, দুপরে আলোচনা সভা, হ্রাসকৃত মূল্যে হার্ট ক্যাম্প, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।