প্রথম আলোর মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি গত সপ্তাহে সরেজমিন দেখতে পান, ৩ হাজার ৩০০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে নির্মিত পানি শোধনাগারটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এটি পড়ে থাকায় পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কাঠামো ও পানিতে ভারী শেওলা জমে আছে। পানিতে ব্যাঙ সাঁতরাচ্ছে। অথচ শোধনাগারটির মাধ্যমে পাশের ধলেশ্বরী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে প্রতি ঘণ্টায় ৩ লাখ ৫০ হাজার লিটার পানি বিশুদ্ধ করা সম্ভব। তাতে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার নাগরিকদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যেত। এখন প্রশ্ন হলো, যদি ফেলেই রাখা হবে, তাহলে কেন এত টাকা ব্যয়ে পানি শোধনাগারটি নির্মাণ করা হলো।
অথচ মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার নাগরিকদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এখন অতি জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, যে ধলেশ্বরী নদীর পানি এত বছর ধরে তাদের গৃহস্থালি কাজের প্রধান উৎস ছিল, তা এখন কারখানার বর্জ্যে দূষিত; নলকূপেও আগের মতো পানি ওঠে না। শোধনাগার নির্মিত হওয়ার পরও কেন তারা সেই পানি থেকে বঞ্চিত হবে?




