টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের দ্রুত রান তোলার চেষ্টা প্রায়শই “ডাক” মারার ঝুঁকি বাড়ায়। বাংলাদেশ দলের অন্যতম আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার এ পরিসংখ্যানে শীর্ষে রয়েছেন। চলুন বিস্তারিত আলোচনা করি।
সৌম্য সরকার ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৮৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে ৮৩টি ইনিংসে ব্যাট করে তিনি ১৩৯৮ রান সংগ্রহ করেছেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি ফিফটি। তবে তিনি ১৩টি ম্যাচে কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন, অর্থাৎ “ডাক” মেরেছেন।
সম্পর্কিত
আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৪৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে ১৪৩টি ইনিংসে ব্যাট করে তিনি ৩৬০০ রান করেছেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১টি সেঞ্চুরি ও ২৩টি ফিফটি। তিনিও ১৩টি ম্যাচে “ডাক” মেরেছেন।
টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২টি “ডাক” মারার তালিকায় আছেন:
কেভিন ইরাকোজে (রুয়ান্ডা)
কেভিন ও’ব্রায়েন (আয়ারল্যান্ড)
রোহিত শর্মা (ভারত)
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে “ডাক” মারার কারণগুলো মধ্যে অন্যতম হল আক্রমণাত্মক খেলার ধরণ। ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেন, যা তাঁদের “ডাক” মারার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সৌম্য সরকারের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। তিনি বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে একজন আক্রমণাত্মক ওপেনার হিসেবে পরিচিত, যার ফলে তিনি দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন এবং এতে করে “ডাক” মারার ঝুঁকিও বেশি থাকে।
তবে “ডাক” মারার এই পরিসংখ্যান সৌম্য সরকারের সামগ্রিক দক্ষতা বা তার ক্যারিয়ারকে নির্ধারণ করে না। তাঁর আক্রমণাত্মক খেলা এবং ইনিংসের শুরুতে দ্রুত রান তোলার প্রচেষ্টা বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে “ডাক” মারার রেকর্ড শুধুমাত্র একটি পরিসংখ্যান, যা ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরণ ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। সৌম্য সরকার এই পরিসংখ্যানে শীর্ষে থাকলেও তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবং দলের সাফল্যে অবদান অস্বীকার করা যায় না। তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের মধ্যে দিয়ে আরও অনেক সাফল্য অর্জন করবেন, যা তার এই পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে যাবে।