স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩৮
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরের ম্যাচ টিকেট নিয়ে গতকাল থেকে রীতিমতো কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। টিকেট প্রত্যাশী দর্শকরা গতকাল বিসিবির এক নম্বর গেটে বিক্ষোভ করেন টিকেট না পেয়ে। আজ আসর শুরুর দিনে চালালেন ভাঙচুর। তাদের দমাতে পুলিশ লাটি চার্জ করে, সেনাবাহিনী এসে নিয়ন্ত্রণ নেয় পরিস্থিতির। টিকেট নিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
প্রথমবারের মতো অনলাইনে টিকেট বিক্রি হচ্ছে বিপিএলের। নতুন এই নিয়মের সাথে মানিয়ে নিতে দর্শকদেরও মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি। আজ
বিসিবিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যেটি অনলাইনে কেনা যায়, এখন বিশ্বের সব জায়গায় টিকেট অনলাইনে কাটা হয়। আমরা এখনো অনলাইনে অভ্যস্ত হইনি। একটা নতুন সিস্টেম। দর্শকের আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমি। প্রথম দুই-তিন দিন যে ভোগান্তি হবে, সেটা শিগগির ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের সার্ভারে সমস্যা ছিল, আরও কিছু ইস্যু ছিল। এ কারণে অনলাইনে টিকেট কাটতে পারেনি, বুথে বেশি মানুষ দেখা গেছে।’
তবে এতকিছুর মধ্যেও বিপিএল নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে। আজ উদ্বোধনী দিনেও মিরপুর স্টেডিয়াম প্রায় কানায় কানায় ভরা। এর আগে গতকাল দর্শকদের বিক্ষোভের পর বিসিবির মিডিয়া বিভাগ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়, বিসিবির ওয়েবসাইট ও মধুমতি ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু ব্রাঞ্চ থেকে টিকেট সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তু বেশিরভাগ দর্শকের কাছেই সেই তথ্য ছিল না। ৩০ শতাংশ টিকেট ছিল অনলাইনে, বাকিটা ব্যাংকে। কিন্তু ব্যাংকের শাখাতে পর্যাপ্ত টিকেট না পেয়ে দর্শকদের মধ্যে আজ তৈরি হয় ক্ষোভ।
এ নিয়ে ফারুক বলেন, ‘টিকিটে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। আমরা অনলাইনে গেছি প্রথমদিকে। আপনাদের সবার উদ্দেশে একটা কথা বলতে চাই, যেকোনো নতুন সিস্টেমেই একটু ত্রুটি থাকবেই শুরুতে। একটু ধৈর্য ধরবেন। কোন গুজবে কান দেবেন না কেউ। সাতটা দিন পর এটা সবাই বুঝতে পারবেন, সবাই ফল ভোগ করবে।’
সারাবাংলা/জেটি
ফারুক আহমেদ
বিপিএল ২০২৫
বিসিবি