টিকটকের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ

টিকটকের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ

টিকটকের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেইজিং-ভিত্তিক টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সে পাঠিয়েছে টিকটক। এতে ব্যবহারকারীর নাম, ইমেইল এবং বর্তমান অবস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একটি স্প্রেডশিটের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ফরচুনের এক প্রতিবেদনে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিকটক।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকটকের সাবেক কয়েকজন কর্মচারীর সাক্ষাৎকার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করে ফরচুন।

ফরচুনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে টিকটক একটি গোপন পদ্ধতি অনুসরণ করে। এটি চেইন অফ কমান্ড অনুসরণ করেছিল। মূলত ২০২২ সালে বাইটড্যান্সের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানালেও এটি গোপনে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করেছিল। তবে এর প্রতিক্রিয়ায় ভিন্ন কিছু বলছে টিকটক।

অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট দাবি করে টিকটক জানায়, তার সাবেক কর্মচারীরা মিথ্যা দাবি করছে। এটি তাদের বানানো একটি মিথ্যা দাবি।

আগস্ট ২০২২ থেকে এপ্রিল ২০২৩ এর মধ্যে টিকটকের সাবেক ১১ কর্মচারীর সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ফরচুন।

সাক্ষাৎকারের টিকটকের সাবেক এক কর্মী বলেন, বাইটড্যান্স থেকে টিকটকের দূরত্ব কখনোই ছিল না। কেবলমাত্র দেখানোর জন্য এটি বলা হয়। গোপনে সেখানে একটি চেইন অফ কমান্ড রয়ে গেছে, যেখানে মার্কিন কর্মচারীরা চীনা কর্মকর্তাদের কাছে রিপোর্ট করা অব্যাহত রেখেছে।

ইভান টার্নার নামের এই সাবেক টিকটক কর্মী বলেন, আমি আক্ষরিক অর্থে এমন একটি প্রকল্পে কাজ করেছি, যেখানে চীনে পাঠানো হচ্ছে মার্কিন তথ্য। আর এর উচ্চ পর্যায়ে কাজ করছে মার্কিনরাই। সুতরাং বলাই চলে, এর সাথে মার্কিনরাই জড়িত।

তিনি বলেন, প্রতি ১৪ দিনে একবার করে বেইজিংয়ে বাইটড্যান্স কর্মীদের ডেটা পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আমাকে।

তিনি বলেন, ‘চীনা সরকারের ডেটা অ্যাক্সেস ছিল কিনা, সেই বিষয়ে আমি স্পষ্ট কিছু বলতে পারছি না।’ তবে আইন অনুসারে যেকোন চীনা সংস্থাকে অনুরোধ করা হলে সরকারকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।

Scroll to Top