এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ব্যবসায়ী থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট গ্রহণ এবং বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। এসব অভিযোগের কারণে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টাইমস তাদের সম্পাদকীয়তে জানিয়েছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বর্তমানে দায়িত্বে থাকা এই চলমান তদন্তের মধ্যে যথাযথ হবে না। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপ সিদ্দিককে তার এমপি পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত, কারণ এর মাধ্যমে তিনি নিজেকে, তার দলের এবং সরকারের জন্য আরও বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের নিয়োগকে সমালোচনা করে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারের সিদ্ধান্তকেও আক্রমণ করা হয়েছে।
দ্য টাইমস দাবি করেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিককে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন করা ‘স্বচ্ছ ছিল না’ এবং তার পেছনে কোনো রাজনৈতিক সুক্ষ্মদর্শিতা দেখা যায়নি। বরং স্টারমারের উত্তর লন্ডনের প্রতিবেশীদের প্রতি রাজনৈতিক নৈতিকতা এবং পছন্দের কারণে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যেহেতু তদন্ত চলছে এবং অভিযোগগুলো জটিল দ্য টাইমস মনে করে, টিউলিপ সিদ্দিকের এখন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করার সময়, এবং তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তার মন্ত্রিপদ থেকে সরে দাঁড়ানোই উচিত হবে। তবে, যদি তিনি পুরোপুরি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তবে তাকে পুনরায় মন্ত্রিপদে ফেরানো সম্ভব হবে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে টিউলিপ সিদ্দিক আর্থিক সেবা খাতের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দেশের অর্থনীতির জন্য যথেষ্ট উপকারী হতে পারবেন না। এমন অবস্থায় তার মন্ত্রিপদ থেকে সরে দাঁড়ানো শুধু তারই নয়, বরং স্যার কিয়ার স্টারমারের জন্যও অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়ানোর উপায় হতে পারে।
দ্য টাইমস পরামর্শ দিয়েছে, টিউলিপের পরিবর্তে তার সহকর্মী, আর্থিক সেবা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এমা রেনল্ডসকে এই দায়িত্বে বসানো যেতে পারে।