জুলাই বিপ্লবে রাজধানীর উত্তরায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শহীদ ৯২ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্স।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সংগঠনের মুখপাত্র ফান্তাসির মাহমুদ জানান, উত্তরায় শহীদ ৯২ জনের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন চাকরিজীবী, ১০ জন ব্যবসায়ী, ৫ জন গাড়ি বা রিকশাচালক, ২ জন মসজিদের ইমাম, একজন ডাক্তার এবং অন্যান্য পেশার ১৯ জন রয়েছেন। এখনো ১১ জনের পরিচয় জানা যায়নি। তাই এই তালিকা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
ফান্তাসির মাহমুদ বলেন, জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশের মানুষকে স্বৈরাচারমুক্ত করে নতুন এক স্বাধীনতা দিয়েছে। বিনিময়ে দিতে হয়েছে প্রায় ২ হাজার মানুষের তাজা প্রাণ। আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি। যাদের অনেককেই চিরতরে অন্ধ বা পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। যেকোন মূল্যে এই রক্তাক্ত বিপ্লবের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে নিস্বার্থভাবে কাজ করছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্স।
আন্দোলনে শহীদদের তথ্য ও আন্দোলনের স্মৃতি সংরক্ষণে ওয়েবসাইট নির্মাণের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। ওয়েবসাইটে সারা দেশের একাধারে শহীদ ও আহতদের তালিকা দেওয়া থাকবে এবং তাদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তুলে ধরা হবে।
ফান্তাসির মাহমুদ বলেন, এই গণঅভূত্থানে উত্তরা ছিলো এক বীরোচিত অধ্যায়। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশের অতর্কিত হামলার পর ১৬ জুলাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সবস্তরের মানুষ রাজপথে নেমে আসে । উত্তরার এই বীরত্বের ইতিহাস রচিত হতে থাকে সেদিন থেকেই। ১৮ ও ১৯ জুলাই উত্তরায় যে গণহত্যা চালানো হয়েছে তা দেখেছে সারাবিশ্ব। বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে হাজার হাজার বিপ্লবী, বলেছে -‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’
এসময় শহীদ মেধাবী শিক্ষার্থীদের আত্নত্যাগ জাতির কাছে চিরস্মরণীয় করে রাখতে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, এত তরুণ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন বাংলাদেশকে যদি বৈষম্যহীন ও সুন্দরভাবে গড়ে তোলা না যায় তবে তা হবে জাতির ব্যর্থতা।