ইসলামবাদ, ০৬ মার্চ – পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ন্যায়বিচার পাননি বলে রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সেনাশাসক জিয়াউল হকের শাসনামলে একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মামলায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার (০৬ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট এ সংক্রান্ত একটি রায় দিয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য ইকোনমিক টাইমস।
সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ৪৪ বছর আগের ওই বিচারিক প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ ছিল। ভুট্টো ন্যায়বিচার পাননি।
পাকিস্তান পিপলস পাটির (পিপিপি) প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী ভুট্টো। তার মেয়ে বেনজির ভুট্টোও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া এবার পাকিস্তানের নির্বাচনের পর সরকার গঠনে পিএমএল-এনের সঙ্গে জোটে সম্মত বিলাওয়াল ভু্ট্টো এ দলের প্রধান হিসেবে রয়েছেন এবং পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৭ সালে হত্যার শিকার হন বেনজির ভুট্টো। তবে তার হত্যাকারী নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। এরমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট এমন রায় দিয়েছেন।
১৯৭৯ সালে জেনারেল জিয়াউল হকের সামরিক শাসনামলে বিতর্কিত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
পকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা বলেন, তার নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এ রায় দিয়েছেন। এ মামলার রায়ে সুষ্ঠু বিচার এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ আমরা পায়নি বলেও জানান তিনি।
দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। আদালতের করা ভুল আদালতের মাধ্যমেই সংশোধন করা হয়েছে।
২০১১ সালে আসিফ আলি জারদারি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে একটি পূর্বের দৃষ্টান্ত আদালতে দাখিল করেন। এর ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আজ এ রায় দিলেন। আবেদনে তিনি পিপিপি প্রতিষ্ঠাতাকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পুনর্বিবেচনার বিষয়ে শীর্ষ আদালতের মতামত চেয়েছিলেন।
রায় ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানান, আমাদের পরিবার এ শব্দগুলো শোনার জন্য তিন প্রজন্ম ধরে অপেক্ষা করছিল।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আদালত বর্তমানে সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছেন। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দেবেন।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ০৬ মার্চ ২০২৪