জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ১০ আমল

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ১০ আমল

৪. জিকির বৃদ্ধি: জিলহজের এই দিনগুলোয় তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি বলা উচিত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘এই ১০ দিনে তাহলিল, তাকবির ও তাহমিদ বৃদ্ধি করো।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ৭,৮৪৮)

৫. তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা: মানুষ হিসেবে আমরা প্রায়ই পাপে লিপ্ত হই। তাই নিয়মিত তওবা করা জরুরি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তান পাপ করে, আর পাপীদের মধ্যে সর্বোত্তম তারা, যারা তওবা করে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪,২৫১)

তওবার শর্ত হলো অনুশোচনা, পাপ ত্যাগের দৃঢ় সংকল্প ও অন্যের হক নষ্ট হলে তা পূরণ করা।

৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক জোরদার করা: আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার আয় বৃদ্ধি ও আয়ু বৃদ্ধি কামনা করে, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১,৯২৯)

এমনকি যারা সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাদের সঙ্গেও সম্পর্ক রক্ষা করাই প্রকৃত আত্মীয়তা। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫,৯৮৪)

এই সময়ে ক্ষোভ ও বিবাদ ভুলে আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে মিলনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

৭. সৎ গুণাবলি অবলম্বন: হজ পালনকারীরা এই সময়ে বিবাদ ও অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকেন। আমাদেরও তা–ই করা উচিত। কাউকে ক্ষমা করা, অসুস্থদের দেখতে যাওয়া, অভাবীদের সাহায্য করা এবং সত্য ও ন্যায়ের কথা বলা এই সময়ের বিশেষ আমল।

Scroll to Top