জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে কাজ করা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ৫৭ বছরের দখলদারিত্বের বৈধতা নিয়ে ঐতিহাসিক শুনানি শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েল ও গাজায় যুদ্ধ চলাকালীন হেগের আইসিজেতে সপ্তাহব্যাপী শুনানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলায় ২৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের দখলে আছে। যার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রসহ সেই তিন এলাকায় নিজেদের ক্ষমতা চায়।
সোমবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা প্রথম কথা বলবেন। তারা মামলায় যুক্তি দেবেন, ইসরায়েলি দখল অবৈধ কারণ এটি আন্তর্জাতিক আইনের তিনটি মূল নীতি লঙ্ঘন করে।
বিজ্ঞাপন

ফিলিস্তিনিদের দাবি, ইসরায়েল তাদের ভূমির বিশাল অংশ দখল করেছে এবং সেই এলাকাগুলো শাসন করছে যা আন্তর্জাতিক আইনের নীতি লঙ্ঘন করে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ সংস্থা বিভাগের প্রধান ওমর আওয়াদাল্লাহ বলেছেন, আমরা আদালত থেকে নতুন রায় আশা করছি। এখন আমরা চাই জাতিসংঘ যেন বর্ণবাদ বিষয়টি বিবেচনা করে বিচারকাজ শুরু করে।
আওয়াদাল্লাহ আরও বলেছেন, আদালতের মতামত আমাদের দখলের অবৈধতার মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।
ফিলিস্তিনিরা তাদের যুক্তি উপস্থাপন করার পর, নজিরবিহীন ৫১ দেশ এবং তিনটি সংস্থা লিগ অফ আরব স্টেটস, অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন আদালতে গ্রেট হল অফ জাস্টিসে বিচারকদের সামনে ভাষণ দেবে। এই মামলায় ইসরায়েল কোনো মৌখিক যুক্তি উপস্থাপন করছে না, তবে তারা নিজেদের যুক্তিতে এটি লিখিত পর্যবেক্ষণ পাঠিয়েছে।




