দুবাইয়ের ভারী বৃষ্টিপাতে চলতি সপ্তাহে সৃষ্ট বন্যায় রানওয়ে প্লাবিত হয়ে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ভবন এবং রাস্তা-ঘাট। একে জলবায়ু পরিবর্তনের স্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বড় বড় শহরগুলোকে এধরনের বিপর্যয়ের জন্য আরও প্রস্তুত করা উচিত কি না, তা নিয়ে জনসাধারণের মনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আবহাওয়াবিদরা কয়েকদিন আগেই জানতেন যে একটি বড় ঝড় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের বাড়িতে থাকতে বলে সতর্কতা জারি করেছে। তবুও দুবাইয়ে কয়েক দশকের সবচেয়ে খারাপ বৃষ্টিপাতের ঘটনায় রাস্তা, বাড়ি এবং মহাসড়ক প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিঘ্নিত হয়েছে।
চাথাম হাউসের এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি সেন্টারের একজন সহযোগী বলেন, সাধারণত সংযুক্ত আরব আমিরাতে সীমিত বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এই কারণে এসব অঞ্চলে উন্নত পানি ব্যবস্থাপনা সিস্টেমকে একটি অপ্রয়োজনীয় খরচ বলে মনে করা হয়েছিল। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই দুবাইয়ের মতো বড় বড় শহরগুলোকে এধরনের বিপর্যয়ের জন্য আরও প্রস্তুত করা উচিত।
দুবাইয়ের বন্যার ঘটনাটি জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের স্পষ্ট উদাহরণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এলনিনোর প্রভাভে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে স্থানভেদে বৃষ্টিপাতে পরিবর্তন পারে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনকে একটি সাধারণ কারণ হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যদিও এর সঠিক প্রভাব প্রতিষ্ঠার জন্য আরও বিশদ অধ্যয়ন প্রয়োজন।