জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রধান তথ্যদাতা হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান | চ্যানেল আই অনলাইন

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রধান তথ্যদাতা হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে “জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রধান তথ্যদাতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐক্যবদ্ধ আহ্বান” বিষয়ে বৈঠক করেছে নারী-নেতৃত্বাধীন সংস্থা নারী মৈত্রী।

মঙ্গলবার ১২ আগস্ট ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস এবং গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের সহায়তায় এই অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজ প্রতিনিধিবৃন্দ, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনায় ২০০৪ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনে সংশোধনী এনে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, মাতৃসদন এবং কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে জন্ম ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রধান তথ্যদাতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল সুশীল সমাজ প্রতিনিধিবৃন্দের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি স্বাক্ষর, যেখানে সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টার কাছে ঐক্যবদ্ধ আবেদন হিসেবে জমা দেওয়া হবে।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৭০% জন্ম এবং ২০% মৃত্যু স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি নিবন্ধন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে আমরা জন্ম নিবন্ধনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারব এবং প্রতিটি শিশুর জন্য আইনি পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান আইন থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে মাত্র ৪৯% শিশু সময়মতো জন্ম নিবন্ধন সনদ পায়। এই ঘাটতি “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১৬.৯: সবার জন্য আইনগত পরিচয় নিশ্চিত করার অঙ্গীকার”-কে ব্যাহত করছে। যদি আমরা সিভিআরভিএস ব্যবস্থার সব উপাদানের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে পারি, তবে জাতীয় জনশুমারির প্রয়োজন অনেকটাই কমে যাবে; সম্ভবত সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শাহ আলী আকবর আশরাফী বলেন, আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যেন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রধান তথ্যদাতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আখতার ডলি বলেন, আজ আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশে একত্রিত হয়েছি। সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোর জোট হিসেবে আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

নারী মৈত্রী এবং জোটের অংশীদাররা এখন বাংলাদেশ সরকারকে আইন সংশোধন, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রধান তথ্যদাতা হিসেবে বাধ্যতামূলক ঘোষণা এবং স্পষ্ট কার্যকরী নির্দেশিকা প্রদানের লক্ষ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এই পদক্ষেপসমূহ বাংলাদেশে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নাগরিক নিবন্ধন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে আর কোনো শিশুই আইনগত পরিচয় থেকে বঞ্চিত থাকবে না।

Scroll to Top