শীতকালে আমরা চেষ্টা করি পানি থেকে বেঁচে থাকতে। এমনকি অনেকেই রোজ গোসলও করেন না। শীতে ঠাণ্ডা পানির এক ফোঁটাও গায়ে পড়লে কেমন কাঁটা দিয়ে উঠে সারা শরীর।
তবে যত যাই হোক গোসল না করলেও চুলতো পরিষ্কার করতেই হয়। তাই অনেকেই বেঁছে নিয়েছেন ড্রাই শ্যাম্পু তেলতেলে চুলকে চটজলদি রেশমের মতো করতে, ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারে ড্রাই শ্যাম্পু। তবে এই ধরনের প্রসাধনীতে রাসায়নিক উপাদান বেশি থাকে। তাই মাথার ত্বকের ক্ষতি কিন্তু আটকানো যায় না।
ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা
১) হাতে সময় কম থাকলে পানি দিয়ে চুল ভিজিয়ে গোসল করে শ্যাম্পু করার উপায় থাকে না। এ ক্ষেত্রে ড্রাই শ্যাম্পু সময় বাঁচায়।
২) ড্রাই শ্যাম্পু যখন ইচ্ছে ব্যবহার করা যায়। শীতের জায়গায় ঘুরতে গেলেও অসুবিধা নেই। রেশমের মতো ফুরফুরে চুলেই ছবি তুলতে পারবেন।
৩) শ্যাম্পুতে চুলের রং নষ্ট হয়। ড্রাই শ্যাম্পু করলে সেই সম্ভাবনা থাকে না।
ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের অসুবিধা
১) শীতকালে এমনিতেই খুশকির বাড়বাড়ন্ত হয়। তার উপর যদি রোজ ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, তা হলে তো কথাই নেই। মাথার ত্বকে ড্রাই শ্যাম্পু জমে সেখান থেকেও খুশকি হতে পারে।
২) ড্রাই শ্যাম্পুর মধ্যে যে ধরনের রাসায়নিক থাকে, তা মাথার ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে দিতে পারে। তাই পানি দিয়ে ভাল করে না ধুলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
৩) মাথার ত্বকে ড্রাই শ্যাম্পুর রাসায়নিক জমতে থাকলে তা থেকে চুলের গোড়ায় সংক্রমণ হতে পারে। যা থেকে পরবর্তী সময়ে চুল পড়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।