যুক্তরাষ্ট্রের একটি হত্যার ঘটনায় ৪৪ বছর পর একটি চুইংগামের মাধ্যমে খুনিকে শনাক্ত করেছেন আদালত। ১৯৮০ সালের ওই ঘটনায় খুনির সাজা ঘোষণা করা হবে আগামী জুন মাসে।
সোমবার (২৫ মার্চ) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন প্রদেশে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুবৃর্ত্তরা।
সম্প্রতি মাল্টনোমা কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি এক বিবৃতিতে জানায়, ১৯৮০ সালের ১৫ জানুয়ারি ১৯ বছর বয়সি বারবারা টাকারকে অপহরণ করে যৌন অত্যাচার চালানো হয়। তারপর বিভিন্ন আঘাতের মাধ্যমে তাকে খুন করা হয়। মাউন্ট হুড কমিউনিটি কলেজের ছাত্রী ছিলেন বারবারা।
অ্যাটর্নি জানান, কলেজ চত্বরে পার্কিং লটের কাছে একটি জায়গায় বারবারাকে খুন করেছিল রবার্ট প্লাইমটন, তার বয়স এখন ৬০ বছর। ঘটনার পরের দিন সকালে ক্লাস করতে এসে অন্য কলেজ শিক্ষার্থীরা বারবারার দেহ দেখতে পান।
গত সপ্তাহে রবার্টকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তিনি অবশ্য অপরাধ অস্বীকার করছেন। তার আইনজীবীরা জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। তাদের বিশ্বাস, এই রায় খারিজ হয়ে যাবে।
কিন্তু এত বছর আগের ঘটনায় কীভাবে খুনিকে ধরা হল? ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কথায় জানা যায়, মামলাটি বহু পুরনো হলেও তদন্ত কখনও বন্ধ হয়নি।
তিনি বলেন, বারবারার দেহ ময়নাতদন্তের সময়ে তার গোপনাঙ্গ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০০০ সালে সেই নমুনা ওরেগন স্টেট পুলিশের কাছে পাঠানো হয় বিশ্লেষণের জন্য। ওই নমুনা থেকে অপরাধীর একটি ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করেছিল পুলিশের ক্রাইম ল্যাব।
এর অনেক পরে তদন্তকারী অফিসারেরা নজরদারি চালানোর সময়ে রবার্টকে মুখ থেকে চুইংগাম ফেলতে দেখেন। রবার্টের উপর তাদের সন্দেহ ছিল। তারা ওই চুইংগামটি সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ক্রাইম ল্যাবে পাঠান। চুইংগাম থেকে যে ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া গিয়েছে, সেটি বারবারার গোপনাঙ্গ থেকে সংগৃহীত নমুনা থেকে তৈরি ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে মিলে যায়। ২০২১ সালের ৮ জুন রবার্টকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। মামলার শেষে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। জুন মাসে সাজা ঘোষণার কথা।