এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
সম্প্রতি দক্ষিণ চীনের শেনজেনে একটি জাপানি স্কুলের গেটের কাছাকাছি ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর চীনের সাইবার জাতীয়তাবাদ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরের এক মঙ্গলবার সকালে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ড জাপান ও চীনকে হতবাক করেছিল এবং কূটনৈতিকভাবে উত্তেজনার জন্ম দেয়।
জাপান সরকার বলেছে, তারা বিশ্বাস করে, যা ঘটেছিল তা জেনোফোবিয়া দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘বিদ্বেষপরায়ণ এবং জাপান বিরোধী’ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে আক্রমণের জন্য দায়ী করেন।
অনলাইন বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল একটি তারিখে ঘটেছে। এটি ১৮ সেপ্টেম্বর ঘটে। আর এই ঘটনা ১৯৩০ এর দশকে চীন এবং জাপানের মধ্যকর ঘটনাকে স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে। তখন জাপান চীনের মাঞ্চুরিয়া দখল করে নিয়েছিল।
কেউ কেউ বলছে, যা ঘটেছে তা অনলাইন জাতীয়তাবাদের একটি চিহ্ন মাত্র। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশী বিরোধী বাগাড়ম্বর ক্রমবর্ধমান চলছে, যা বাস্তব জীবনে ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের পর বছর ধরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সম্পর্কিত পোস্টগুলো চীনা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। আর যুদ্ধের সময় জাপানি আক্রমণ উভয় পক্ষের জাতীয়তাবাদীদের জন্য একটি সংবেদনশীল বিষয় ছিল। এছাড়াও যুদ্ধে জাপানের যুদ্ধকালীন নৃশংসতা চীনে দীর্ঘকাল ধরে একটি বেদনাদায়ক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বেইজিং এখনও প্রচার করছে টোকিও সেসব ঘটনার জন্য পুরোপুরি ক্ষমা চায়নি।