এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ নামের পাশে ডাক্তার লিখতে পারবে না, এমন পাঁচ দফা দাবিতে সারাদেশের সব মেডিকেল কলেজে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ এবং কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টর’স মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের সভাপতি জাবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সারাদেশের সব মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীরা সব ধরনের পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করেছে আজ। একইসাথে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালগুলোর বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে সেবা দেয় তা থেকে বিরত রয়েছে। একাডেমিক শাটডাউন পালন করা হচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ডা. হোসেন বলেন, আমরা কষ্ট করে পাঁচ বছর এমবিবিএস ডিগ্রি করি। আর কেবল বিভিন্ন মেয়াদি কোর্স করেই তারা ডাক্তার হতে চায়।
এদিকে, যারা মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করেন, তারা নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দেয়ার জন্য পদবি ব্যবহার করতে চান। এই দাবিতে তাদের করা একটি রিট হাইকোর্টে চলমান। আগামীকাল মঙ্গলবার ওই রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকদের সংগঠন ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। ওই রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ‘কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে লং মার্চ টু হাইকোর্ট’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে কেবল এমবিবিএস বা বিডিএস উত্তীর্ণদের বিএমডিসির নিবন্ধন দেওয়া, মেডিকেল অ্যাসিসটেন্টদের (ম্যাটস) নিবন্ধন দেওয়া বন্ধ করা।
এছাড়াও সব ধরনের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) এবং মানহীন সরকারি ও বেসরকারি কলেজ বন্ধ করা, এরই মধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।