ইউক্রেন বাহিনী অবশ্য প্রতিরোধযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে গত বছর পাল্টা হামলা চালিয়ে পুরোপুরি সফল না হলেও কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করে তারা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তারা বাখুমতের কাছে ক্লিশচিভকা ও আন্দ্রিভকা শহর রুশ সেনাদের কাছ থেকে পুনর্দখল করে। তাদের হামলার মুখে খেরসনের একটি এলাকা থেকে পিছু হটে রুশ বাহিনী।
পশ্চিমাদের দেওয়া আধুনিক প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্র কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় একাধিকবার ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। হামলা হয়েছে রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়াকে সংযোগকারী কার্চ সেতুতে। কৃষ্ণসাগরে রুশ যুদ্ধজাহাজেও হামলা চালিয়েছে তারা।
এই যুদ্ধে ঠিক কতসংখ্যক রুশ সেনা নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, রাশিয়ার চার লাখের বেশি সেনা হতাহত হয়েছেন। তবে রাশিয়ার নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত স্বাধীন সংবাদমাধ্যম মিডিয়াজোনার তথ্যমতে, ইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার প্রায় ৪৫ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যা আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর দশকব্যাপী যুদ্ধে যত সেনা নিহত হয়েছিলেন, তার তিন গুণ। এ ছাড়া রাশিয়ার ৪০ থেকে ৫৫ হাজার সেনা আহত হয়েছেন বলে মিডিয়াজোনা জানিয়েছে।
অপর দিকে যুদ্ধে ইউক্রেনের ৩ লাখ ৮৩ হাজার সেনা হতাহত হয়েছেন বলে গত বছর শেষে দাবি করেছিলেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। তবে গত বছরের আগস্টে মার্কিন কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, যুদ্ধে ইউক্রেনের ৭০ হাজারের মতো সেনা নিহত এবং ১ লাখ ২০ হাজারের মতো সেনা আহত হয়েছেন।