ঢাকা, ১৮ আগস্ট – অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অস্বস্তি ও বাজারে চাঁদাবাজি নিয়ে তুমুল আলোচনার ভেতরেও বিষয়টি থেমে নেই। এছাড়া তিনি বলেন, চাল উৎপাদনের চাতাল মালিকদের কাছ থেকে এক পক্ষের টাকা আদায় এবং আরেক পক্ষের আরও টাকার জন্য চাপ দেয়ার তথ্য জানতে পেরেছি। সূত্র: বিডিনিউজ।
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
সরকার পতনের পর চাঁদাবাজদের অনেকে প্রকাশ্যে নেই, নতুন করে চাঁদাবাজ তৈরি হবে না, সেই নিশ্চয়তা কী- এই প্রশ্নে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমার কাছে অনেক প্রতিবেদন আসছে। চাল কিনবে চাতাল থেকে, এক গ্রুপ নিয়ে (চাঁদা) চলে গেছে, আরেক গ্রুপ এসে আবার চাঁদা দাবি করেছে।’
এ ক্ষেত্রে সরকার কী করছে, তার জবাব দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিকভাবে ডেপুটি কমিশনারকে বলেছি খোঁজখবর নিতে যাতে ভালো ব্যবসায়ীরা বাধাপ্রাপ্ত না হয়। আমি জানি, এক গোষ্ঠী গেলে, নতুন আরেক গোষ্ঠী আসবে।’
‘চাঁদাবাজি হয়, একটা ট্রাক ঢাকা পর্যন্ত আসতে ৭ হাজার টাকা লাগে, কেউ একজন আমাকে বলেছিলেন। তবে এটা কিন্তু বাণিজ্য কিংবা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব না, এটা যাদের দায়িত্ব, তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
পণ্য বাজারে সিন্ডিকেট নিয়ে বহু বছর ধরে যে আলোচনা, সেটি নিয়ন্ত্রণে কী ভূমিকা রাখবেন- এই প্রশ্নে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘কারওয়ান বাজারেই একটা পণ্য চারবার হাতবদল হয়, তাই না? এগুলো প্রিয়েমপটিভ মানি, তুমি এত টাকায় বিক্রি করলে এত টাকা পাবে, এভাবে টাকা আদায় করা হয়। এগুলো বন্ধ করতে হবে।’
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কিনা, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে খোলাবাজারে কিছু বিক্রি করতে হবে। তবে সবকিছু একদিনে প্রত্যাশা করবেন না। হঠাৎ করে সবকিছু বন্ধ করে দিলে নিষ্পাপ লোকজন ভুক্তভোগী হবেন।’
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে টিসিবির ডিস্ট্রিবিউশন স্থগিত আছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটা চালু করা হবে।’
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৮ আগস্ট ২০২৪