চট্টগ্রামকে উড়িয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল বরিশাল

চট্টগ্রামকে উড়িয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল বরিশাল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

আগে বোলিং করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৩৫ রানেই আটকে রেখেছিল ফরচুন বরিশাল। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপের দল বরিশালের জয়ের রাস্তা অনেকটা সেখানেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। তামিম ইকবাল ও কাইল মায়ার্সের দারুণ ফিফটিতে সেই রাস্তা সহজেই পারি দিয়েছে বরিশাল।

দশম বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে বরিশাল। এই জয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হলো বরিশালের। সেই ম্যাচ জিতলেই ফাইনাল। রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ন্স, এই দুই দলের মধ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ার হেরে যাওয়া যেকোনো এক দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে বরিশাল। অপর দিকে টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩৫ রানের জবাব দিতে নেমে বরিশালের শুরুটা অবশ্য প্রত্যাশিত হয়নি। সৌম্য সরকারকে নিয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। ওপেনিংয়ে ডাক মেরেছেন সৌম্য। তবে তামিমের সঙ্গে কাইল মায়ার্সের দ্বিতীয় উইকেট জুটিটা হয়েছে দুর্দান্ত।

দ্বিতীয় উইকেটে ৫৪ বলে ৯৮ রান তুলেছেন দুজন। বরিশাল যে সহজ জয় পেতে যাচ্ছে সেটা সেখানেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। কাইল মায়ার্স ২৬ বলে ৩টি চার ৫টি ছয়ে ৫০ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। মায়ার্স ফেরার পর তামিম নিজেকে অনেকটা গুটিয়েই নেন।

দ্রুত রান তোলার চেষ্টা বাদ দিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসার দিকেই মনোযোগ দিতে দেখা গেছে বরিশালের অধিনায়ককে। সেটা পেরেছেনও। ১৪.৫ ওভারে বরিশালের ৭ উইকেটের জয় যখন নিশ্চিত হলো তামিম তখন ৪৩ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন। মাঝখানে ডেভিড মিলার ১৩ বলে ১৭ রানের একটা ইনিংস খেলে আগামী ম্যাচের ‘প্রস্তুতি’ সেরেছেন।

আজকের ফিফটিতে চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে থাকা তামিম নিজেকের আরও এগিয়ে নিলেন। ১৩ ইনিংসে তামিমের রান এখন ৪৪৩। দুই নম্বরে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের রান ৩৮৪।

টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিম ইকবাল। মিরপুরে প্রথম ইনিংসের তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে বেশি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তামিমের সিদ্ধান্তটা অনুমিতই ছিল। বরিশালের বোলাররাও অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করেছেন।

ফর্মে থাকা তানজিদ হাসান তামিমকে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। খানিক বাদে তিনে নামা ইমরানুজ্জামানকে ফেরান ওবেদ ম্যাককয়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সেই ধাক্কা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন জশ ব্রাউন ও টম ব্রুচ।

তামিম ইকবাল কিছুটা ‘সহযোগীতা’ও করেছেন এতে! ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা জশ ব্রাউনকে ব্যক্তিগত ২০ রানে জীবন দিয়েছেন তামিম। ব্রাউনের সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি। বেশিদূর অবশ্য এগুতে পারেননি ব্রাউন। ম্যাককয়ের বলে ফিরেছেন ২২ ২ চার ৩ ছয়ে ৩৪ রান করে। টম ব্রুচও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। কাইল মায়ার্সের বলে ফিরেছেন ১১ বলে ১৭ রান কর।

এই দুজন ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে চট্টগ্রাম। মিডল ওভারগুলোতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম, জেমস ফুলাররা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে থেমেছে চট্টগ্রাম। অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী ১৬ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন।

বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাককয়, সাইফউদ্দিন, কাইল মায়ার্স। একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম, জেমস ফুলার।

সারাবাংলা/এসএইচএস

Scroll to Top