এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
ডেনমার্কের কাছ থেকে গায়ের জোরে গ্রিনল্যান্ড কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর এবার নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে ইউরোপের দুই পরাশক্তি ফ্রান্স ও জার্মানি। ইউরোপীয় মাটিতে কোনো আঘাত এলে তা বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তারা।
আজ (৯ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সোলজ বলেছেন, ছোট কিংবা বড় প্রতিটি দেশের সীমান্তের ক্ষেত্রে অলঙ্ঘনীয় নীতি রয়েছে। সেটা মেনে চলতে হবে।
এদিকে ট্রাম্পের হুমকির ঘটনায় কড়া জবাব দিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ নয়েল ব্যারট। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ব্যারট বলেন, ইউরোপের সীমান্তে কেউ আক্রমণ করলে তা বরদাশত করা হবে না। মহাদেশ হিসেবে ইউরোপ শক্তিশালী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি সদস্য একে অন্যের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিশ্বের যে দেশই হোক, তার শক্তিমত্তা যতই হোক ইউরোপের দিকে আঙুল তুললে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে ব্যারট ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে বলেন, গ্রিনল্যান্ড ড্যানিশদের সম্পত্তি। স্বায়ত্তশাসিত এ ভূমি দূরবর্তী সীমানা আইনে ইউরোপেরই অন্তর্ভুক্ত। কেউ গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করলে সেটি হবে ইউরোপ আক্রমণের নামান্তর।
‘গ্রিনল্যান্ড দখল করতে কোনো সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করা হবে না’ এমন নিশ্চয়তা দেবেন কিনা, প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, আমি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড। ৬০০ বছর ধরে এটি ডেনমার্কের অংশ হয়ে আছে। ৫৭ হাজার জনসংখ্যার দেশ গ্রিনল্যান্ডে আছে স্বায়ত্তশাসন। ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চেয়ে আসছেন দ্বীপদেশটির প্রধানমন্ত্রী।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাসমুসেন বলেন, আমরা পুরোপুরি স্বীকার করি যে, গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হলে গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হবে। আমি মনে করি না যে আমরা পররাষ্ট্রনীতির সংকটে আছি। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ নিশ্চিত করতে আমরা কীভাবে আরও সহযোগিতা করতে পারি তা নিয়ে তাদের সঙ্গে সংলাপের জন্য আমরা প্রস্তুত।