রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় গাধা আছে ১৩টি। তবে গাধার জন্য নির্ধারিত জায়গার ধারণক্ষমতা ছয়টি।
গাধার মতো চিড়িয়াখানায় জায়গার তুলনায় ঘোড়া, সাপ, জলহস্তী, পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণীর সংখ্যা বেশি। তাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বাড়তি প্রাণীগুলোকে বিক্রি অথবা অবমুক্ত করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
এ জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রেখে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, প্রাণী ও পাখির কল্যাণের পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে। প্রাণীকে তৃষ্ণা, ক্ষুধা ও পুষ্টির অভাব, অস্বস্তিকর অবস্থা এবং ব্যথা, আঘাত ও রোগ থেকে মুক্তি দিতে হবে। স্বাভাবিক আচরণ প্রদর্শনের স্বাধীনতা এবং ভয় ও মর্মপীড়া থেকে মুক্তি দিতে হবে।
বিধান চন্দ্র দাস বলেন, বাংলাদেশের কোনো চিড়িয়াখানা এই নিয়মগুলো পরিপূর্ণভাবে পূরণ করে না, যার কারণে ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব জু’স অ্যান্ড অ্যাকুয়ারিয়ামের (ডব্লিউএজেডএ) সদস্য হতে পারেনি বাংলাদেশের কোনো চিড়িয়াখানা।



