উত্তর গাজায় ৭০ শতাংশ মানুষ ক্ষুধায় ‘বিপর্যয়মূলক’ মাত্রার মুখোমুখি। জরুরি হস্তক্ষেপ না করলে মার্চ মাসের মাঝামঝি কিংবা মে মাস নাগাদ উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বলে সতর্কতা জারি করেছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবা ১৯ মার্চ সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন বিষয়ক আইপিসি সোমবার এ বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিসি বলছে অঞ্চলটিতে অন্তত অর্ধেক জনসংখ্যা অনাহারে রয়েছে। আর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহারকে’ ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান কিন্ডি ম্যাককেইন বলেন, এ মুহূর্তে গাজায় লোকজন অনাহারে মারা যাচ্ছে। গাজায় ক্ষুধা ও অপুষ্টির সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
দ্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) হিসেবে গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ১১ লাখ লোক ভয়ংকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।
জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গনাইজেশনের (ফাও) ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল বেথ বেচডল বলেন, মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। তারা দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পর্যায়ে আছে। পরিস্থিতি সচচেয়ে ভয়ংকর উত্তর গাজায়। এখানে মধ্য মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন অঞ্চলে ত্রাণের অবাধ প্রবেশের সুযোগ দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নষ্ট করার মতো সময় নেই। এছাড়াও তিনি দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধের ব্যর্থতার জন্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লজ্জায় মাথা নত করা উচিত বলেও মনে করেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, উত্তরে অনাহার ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অন্তত ২৫ জন মারা গেছে। মানুষ ময়লা, ঘাস ও পশুখাদ্য খাচ্ছে। এছাড়াও দূষিত পানি পান করছে। ক্ষুধার্ত মায়েরা তাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত দুধ তৈরি করতে অক্ষম।