জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা টম ফ্লেচার বলেছেন, গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের “জোরপূর্বক অনাহারে” ফেলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জোরপূর্বক অনাহারের মূল্যায়ন যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য কি না জানতে চাইলে ফ্লেচার বলেন, হ্যাঁ, এটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ। স্পষ্টতই, এই বিষয়গুলোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালতের, এবং শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের রায়ও গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সম্প্রতি তার এক পূর্ববর্তী মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন, সাহায্য প্রবেশ না করলে গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে. এই মন্তব্যের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং স্বীকার করেন যে, ভাষাগতভাবে আরও “সুনির্দিষ্ট” হওয়া প্রয়োজন ছিল। জাতিসংঘও পরে এ ধরনের সংখ্যাগত পূর্বাভাস প্রত্যাখ্যান করে।
প্রায় তিন মাসের কঠোর অবরোধের পর, গত সপ্তাহে ইসরায়েল গাজায় সীমিত পরিমাণে মানবিক সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিতে শুরু করে। এর ফলে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে খাদ্যের জন্য ভিড় করছেন ফিলিস্তিনিরা।
প্রসঙ্গত, অবরোধ আরোপের দুই সপ্তাহ পরেই হামাসের সঙ্গে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে আবারও আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে এবং মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়।