চোখ বাঁধা ও হাতকড়া পরা ফিলিস্তিনি বন্দীদের পচন ধরা মৃতদেহ সমেত গাজায় একটি গণকবর পাওয়া যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
উত্তর গাজার হামাদ স্কুলের কাছে কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে অন্তত ৩০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে আল জাজিরাকে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
তারা ওই বেসামরিক লোকদের হত্যার জন্য ইসরায়েলি সেনাদের অভিযুক্ত করেছেন।
এই হত্যাকাণ্ডকে ইসরায়েল কর্তৃক গণহত্যা হিসাবে বর্ণনা করে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়টি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘একটি তদন্তকারী দল গাজা পরিদর্শন করে আমাদের জনগণ যে গণহত্যার শিকার হয়েছে, তা খুঁজে বের করুক।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা আল জাজিরাকে বলেছেন, নিহতদের চোখ বেঁধে নির্যাতন করার পর হত্যা করে ব্যাগে রাখা হয়েছিল।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘আমরা যখন পরিষ্কার করছিলাম, তখন আমরা স্কুলের আঙিনার ভেতরে ধ্বংসস্তূপের স্তূপ দেখতে পাই। এই স্তূপের নীচে কয়েক ডজন মৃতদেহ চাপা পড়েছিল। সেটা দেখে আমরা হতবাক হয়েছি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘যে মুহূর্তে আমরা কালো প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো খুললাম, আমরা মৃতদেহগুলো দেখতে পেলাম, যা ইতিমধ্যেই পঁচে গেছে। তাদের চোখ, পা ও হাত বাঁধা ছিল।’
এদিকে হামাস বলেছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে গণকবরের তথ্য সংরক্ষণ করা উচিত।
হামাস টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে নব্য-নাৎসিদের দ্বারা সংঘটিত এই জঘন্য অপরাধ। এমন দিন আসবে যখন তারা তাদের বর্বরতা এবং অপরাধের জন্য দায়বদ্ধ হবে।’
ফিলিস্তিনি মানবাধিকার আইনজীবী ডায়ানা বাট্টু বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, ‘এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে কেন ইসরায়েলকে আইসিজেতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণকবরের আবিষ্কার স্পষ্টভাবে একটি যুদ্ধাপরাধ এবং এটি অবশ্যই তদন্ত করা দরকার।’