জেরুজালেম, ০৮ মার্চ – আজ সারা বিশ্বে নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অর্জনকে সম্মান জানাতে পালিত হচ্ছে বিশ্ব নারী দিবস। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের নারীরা আছেন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে। অপুষ্টি এবং পানিশূন্যতায় ভুগছেন ৬০ হাজার গর্ভবতী নারী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, প্রায় ৫ হাজার নারী এখনও এই অঞ্চলে প্রতি মাসে সন্তান প্রসব করছেন। যে পরিস্থিতিতে তারা সন্তান প্রসব করছেন তা অত্যন্ত ‘কঠোর, অনিরাপদ এবং অস্বাস্থ্যকর’।
তিনি আরও বলেন, গাজায় বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার গর্ভবতী নারী রয়েছেন যারা সঠিক স্বাস্থ্যসেবা ছাড়াই তাদের গর্ভকালীন সময় পার করছেন এবং অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার মতো রোগে ভুগছেন।
মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনি নারীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রতি বছর ৮ মার্চ পালন করা হয়। সারা বিশ্বে নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অর্জনকে সম্মান জানাতে এই দিনটি ব্যাপকভাবে পালিত হয়। অনেক স্থানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি ছুটির দিন হিসাবেও পালন করা হয়। মূলত লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা বা লিঙ্গবৈষম্য কমানো, প্রজননের অধিকার, নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নির্যাতন, নারী-পুরুষের সমানাধিকারের জন্য সারা বিশ্ব জুড়েই পালন করা হয় এই দিনটি। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস সারা বিশ্বে নারীত্বের একটি মহান উদযাপন। এই দিনটি বিশেষ করে নারীদের কৃতিত্বকে সম্মান এবং লিঙ্গ বৈষম্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং সমাজের সকল অংশ থেকে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করাও গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৮ মার্চ ২০২৪