ম্যাচের তৃতীয় দিনেই মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার মধ্যকার গল টেস্টটা ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। কিন্তু শেষ দিনের শেষভাগে রোমাঞ্চ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশি স্পিনাররা।
বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৬ উইকেটে ২৮৫ রানে। যাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে লংকানদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৯৫। তখন দিনের খেলা বাকি ছিল মাত্র ৩৭ ওভার। কিন্তু জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারের আগেই শ্রীলংকার ৪ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি স্পিনাররা। তাতে বাংলাদেশি সমর্থকদের আফসোস বেড়েছে নিশ্চয়! ইশ, আরও আগে যদি ইনিংস ঘোষণা করত বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে হয়ত জয়ের একটা সুযোগ আসতে পারত!
ম্যাচ যখন শেষ হলো তখন শ্রীলংকা পিছিয়ে ছিল ২২৪ রানে। সেক্ষেত্রে আফসোসটা আরও বেড়েছে, ইশ আরও আগে যদি ইনিংস ঘোষণা করার সাহস করত বাংলাদেশ।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক, কোচ তখন কি ভাবছিলেন? অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খোলাসা করেনি। তবে বলেছেন, বৃষ্টিটা সব ওলট-পালট করে দিয়েছে।
গল টেস্টের প্রথম সেশন শেষে বৃষ্টি হানা দেয়। তারপর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। এই বিরতিটা বাংলাদেশের পরিকল্পনায় বড় প্রভাব ফেলেছিল বলেছেন শান্ত।
বাংলাদেশ আরও আগে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করতে পারত কিনা, এমন প্রশ্নে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘হ্যাঁ। কিন্তু বৃষ্টিটা হুট করে চলে আসায় পরিকল্পনা হঠাৎ বদলাতে হয়েছে। এ সব তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।’
শেষ বিকেলে অল্প সময়ের মধ্যে শ্রীলংকার চার উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের একটা স্বপ্ন দেখচ্ছিলেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়া নাঈম দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছেন তিন উইকেট।
স্পিনারদের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘যেভাবে তাইজুল ও নাঈম বল করেছে (ইনিংস ঘোষণার পর) খুবই ভালো। এই কন্ডিশনে প্রথম ইনিংসে নাঈম যেভাবে বল করেছে, অসাধারণ। সে খুব বেশি সুযোগ পায়নি কিন্তু তাঁর বোলিং ছিল দুর্দান্ত, আজ আবার সে দেখিয়েছে কতটা ভালো।’
গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে ৪৯৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। শান্ত সেঞ্চুরি করেন দ্বিতীয় ইনিংসেও। যাতে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। শ্রীলংকা প্রথম ইনিংসে করে ৪৮৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৭২ রান তোলার পর ম্যাচ ড্র হয়েছে।