জাতীয় গণহত্যা দিবসে লন্ডনে আয়োজিত যুক্তরাজ্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমাবেশে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) ৫৪তম গণহত্যা দিবস উপলক্ষে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কস্থ শহীদ মিনারে সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক আলোর সমাবেশ থেকে এই দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সৈয়দ আনাস পাশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুনিরা পারভিনের পরিচালনায় আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন বাংলাদেশ হাই কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন ডেপুটি হাইকমিশনার জনাব হযরত আলী খান। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রিটেনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক, প্রবীন রাজনীতিক সুলতান শরীফ ও নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান। বক্তব্য রাখেন, আমরা একাত্তর সংগঠক শাহাব আহমেদ বাচ্চু, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা কবি, সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদ, এনফিল্ড কাউন্সিলের কাউন্সিলার মোহাম্মদ ইসলাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, কবি, সংস্কৃতিকর্মী ময়নুর রহমান বাবুল, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেত্রী মেহের নিগার চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা রবিন পাল, যুক্তরাজ্য জাসদের কোষাধ্যক্ষ শাহনুর খান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আরিফুর খোন্দকার এবং সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সহ-সভাপতি সাংবাদিক নিলুফা হাসান, জামাল খান, স্মৃতি আজাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ বেলাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত দাস প্রমুখ।
সমাবেশে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়। সমাবেশের ঘোষণায় বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ‘৭১- এর গণহত্যা অস্বীকারকারী এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত ইতিহাস বিকৃতকারীদের শাস্তির জন্য প্রস্তাবিত আইন দ্রুত কার্যকর করতে হবে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণহত্যার কালরাত্রি পালনের এই সমাবেশ থেকে আমরা ঘোষণা করছি- আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রকে জঙ্গি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
সভার বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে যে গণহত্যা হয়েছে, সেটি আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এত খুন, ধর্ষণ হলো সবকিছু মিলিয়ে যে জাতিগোষ্ঠী নির্মূল করার অপচেষ্টা হয়েছে বিস্মতির অতল গহবর থেকে এটিকে তুলে আনতে হবে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সরকারকে জোরালোভাবে কাজ করতে হবে।