গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ দুজনের চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন

গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ দুজনের চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩১

শ্রীলঙ্কা থেকে কর্নিয়া এনে তাদের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে

ঢাকা: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া পারভীন (৩০) ও তরিকুলের চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তারা দুজনেই চোখ প্রায় হারাতেই বসেছিলেন। শ্রীলঙ্কা থেকে কর্নিয়া এনে তাদের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পারভীন ও তরিকুলের চোখের ব্যান্ডেজ খোলেন চিকিৎসকেরা। এর আগে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর গ্রিন রোডের ভিশন আই হাসপাতালে সফলভাবে তাদের চোখের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়।

জানা যায়, পারভীন ও তরিকুল ক্ষতিগ্রস্ত চোখ দিয়ে এখন কিছুটা দেখতে পাচ্ছেন। তবে চিকিৎসা শেষে তাদের দৃষ্টি অনেকটাই ফিরে আসতে পারে বলে চিকিৎসকেরা আশা করছেন।

পারভীন ও তরিকুলের ব্যান্ডেজ খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা সমন্বয়ক রেটিনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাকিয়া সুলতানা নীলা।

তিনি বলেন, আন্দোলনে আহত এমন আরও অন্তত ৪০ জন আছেন, যাদের চোখের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হলে দৃষ্টি ফিরে পেতে পারেন। এই হাসপাতালে আরও দুজন আহতের চোখের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ওই কর্নিয়া দুটি এসেছিল নেপাল থেকে। আর কর্নিয়া পাঠিয়ে সহযোগিতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা সেভা ফাউন্ডেশন।

জানা গেছে, পারভীন ১৮ জুলাই জুরাইনে কাজ শেষ করে বিকেলে বাসায় ফিরছিলেন। যাত্রবাড়ী গিয়ে দেখেন কেউ মারা গেছেন, কারও হাত নেই, পা নেই। এ সময় রাস্তার ওপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকা এক ছাত্রকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশ সমানে গুলি করতে থাকে। এতে ওই ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়। আর একটি গুলি লাগে পারভীনের চোখে এবং সেই ছাত্রটি তার কোলেই মারা যায়।

এদিকে, গত ৪ আগস্ট বরিশালের হাতেম আলী কলেজে আন্দোলনের সময় তরিকুলের চোখ, মাথা ও থুতনিতে পুলিশের গুলি লাগে।

সারাবাংলা/এমএইচ/এইচআই

চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান

Scroll to Top